Number System Digital Device

সংখ্যা পদ্ধতি এবং ডিজিটাল ডিভাইস | সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর PDF Download

Advertisements

এই অধ্যায়ে Number System & Digital Device মৌলিক ধারণাগুলি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই লেকচার শীটটি পড়লে আপনাকে আর কোথাও কোচিং করার প্রয়োজন হবে না । কারণ এই লেকচার শীটটি এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতে অন্তর্ভুক্ত আছে আইসিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন বা MCQ Answer , সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর এবং ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় গাইড । এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. সংখ্যা পদ্ধতি (Number Systems):

  • বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি:
  1. সংজ্ঞা: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি একক সংখ্যা পদ্ধতি যা শুধুমাত্র দুটি সংখ্যা ব্যবহার করে: 0 ও 1।
  2. বাইনারি সংখ্যা: উদাহরণস্বরূপ, 1010 বাইনারি সংখ্যা।
  3. বাইনারি থেকে দশমিক রূপান্তর: বাইনারি সংখ্যা গুলি দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করতে প্রতিটি বিটের গুরুত্ব নির্ধারণ করা হয় (যেমন: 1010₂ = 10₁₀)।
  • ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি:
  1. সংজ্ঞা: দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি দশটি সংখ্যা (0 থেকে 9) ব্যবহার করে।
  2. ডেসিমাল সংখ্যা: উদাহরণস্বরূপ, 254।
  3. ডেসিমাল থেকে বাইনারি রূপান্তর: দশমিক সংখ্যা বাইনারিতে রূপান্তর করতে গুনফল বা ভাগফল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (যেমন: 10₁₀ = 1010₂)।
  • হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি:
  1. সংজ্ঞা: হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি ষোলোটি সংখ্যা (0 থেকে 9 এবং A থেকে F) ব্যবহার করে।
  2. হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা: উদাহরণস্বরূপ, 1A3F।
  3. হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি রূপান্তর: হেক্সাডেসিমাল সংখ্যার প্রতিটি অক্ষর বাইনারিতে রূপান্তর করা হয় (যেমন: 1A3F₁₆ = 0001 1010 0011 1111₂)।
  • সংখ্যা পদ্ধতির প্রয়োগ:
  1. কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণ: কম্পিউটার সিস্টেমে তথ্য বাইনারি ফরম্যাটে সংরক্ষিত হয়।
  2. ডেটা ট্রান্সফার: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য বাইনারি ফরম্যাটে প্রেরিত হয়।
  3. প্রোগ্রামিং: প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন বাইনারি, হেক্সাডেসিমাল।
  • সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর:
  1. বাইনারি থেকে ডেসিমাল:
  • প্রতিটি বিটের অবস্থানকে তার দুইয়ের গুণফলে গুননা করুন এবং সব গুনফল যোগ করুন। উদাহরণ: 1011₂ = 1×2³ + 0×2² + 1×2¹ + 1×2⁰ = 8 + 0 + 2 + 1 = 11₁₀।
  • ডেসিমাল থেকে বাইনারি:
  • ডেসিমাল সংখ্যাকে 2 দিয়ে ভাগ করুন এবং ভাগফল সংগ্রহ করুন। উদাহরণ: 13₁₀ ÷ 2 = 6 (শেষফল 1), 6 ÷ 2 = 3 (শেষফল 0), 3 ÷ 2 = 1 (শেষফল 1), 1 ÷ 2 = 0 (শেষফল 1)। বাইনারি সংখ্যা: 1101₂।
  • বাইনারি থেকে হেক্সাডেসিমাল:
  • বাইনারি সংখ্যাকে চার বিটের গ্রুপে বিভক্ত করুন এবং প্রতিটি গ্রুপকে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যায় রূপান্তর করুন। উদাহরণ: 10101100₂ = 1010 1111 (এবং 1010 = A, 1111 = F)। হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা: AF₁₆।
  • হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি:
  • হেক্সাডেসিমাল সংখ্যার প্রতিটি অক্ষরকে 4-বিট বাইনারি কোডে রূপান্তর করুন। উদাহরণ: 7F₁₆ = 0111 1111₂।

আরো পড়ুন :

২. ডিজিটাল ডিভাইস (Digital Devices):

  • বেসিক ডিজিটাল ডিভাইস:
  1. কম্পিউটার: প্রোগ্রাম অনুসারে তথ্য প্রক্রিয়া ও পরিচালনা করে।
  2. স্মার্টফোন: মোবাইল ডিভাইস যা কম্পিউটার সিস্টেম, ক্যামেরা, সেন্সর ইত্যাদি একত্রিত করে।
  3. ট্যাবলেট: পোর্টেবল ডিভাইস যা টাচ স্ক্রিন এবং অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে।
  • ডিজিটাল লজিক গেট:
  1. AND গেট: দুটি ইনপুট সিগন্যালের সবগুলো TRUE হলে আউটপুট TRUE হয়।
  2. OR গেট: দুটি ইনপুট সিগন্যালের যেকোনো একটি TRUE হলে আউটপুট TRUE হয়।
  3. NOT গেট: ইনপুট সিগন্যালের বিপরীত আউটপুট প্রদান করে।
  4. NAND গেট: AND গেটের বিপরীত, সমস্ত ইনপুট FALSE হলে আউটপুট TRUE হয়।
  5. NOR গেট: OR গেটের বিপরীত, সমস্ত ইনপুট FALSE হলে আউটপুট TRUE হয়।
  6. XOR গেট: ইনপুট সিগন্যালের একটির TRUE হলে আউটপুট TRUE হয়।
  7. XNOR গেট: XOR গেটের বিপরীত, ইনপুট সিগন্যালগুলির সমান হলে আউটপুট TRUE হয়।
  • ডিজিটাল সিস্টেম:
  1. কম্পিউটার সিস্টেমের মৌলিক উপাদান: CPU, RAM, ROM, মাদারবোর্ড, স্টোরেজ ডিভাইস।
  2. প্রসেসর (CPU): কম্পিউটারের মস্তিষ্ক, যা নির্দেশনা এবং তথ্য প্রক্রিয়া করে।
  3. র্যাম (RAM): অস্থায়ী মেমরি যা চলমান প্রোগ্রামের তথ্য ধারণ করে।
  4. রোম (ROM): স্থায়ী মেমরি যা কম্পিউটারের বুট আপ নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে।
  5. স্টোরেজ ডিভাইস: হার্ড ড্রাইভ, SSD, মেমরি কার্ড যা তথ্য সংরক্ষণ করে।
  • বেসিক ডিজিটাল অপারেশন:
  1. বিট অপারেশন: বিটের মধ্যে AND, OR, NOT অপারেশন।
  2. বাইনারি অ্যারিথমেটিক: বাইনারি সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ।
  • ডিজিটাল লজিক ডিজাইন:
  1. লজিক গেট কভারেজ: ডিজিটাল লজিক গেটের মাধ্যমে বিভিন্ন লজিক্যাল অপারেশন ডিজাইন করা হয়। লজিক গেটগুলোর সমন্বয়ে যুক্তি অভিব্যক্তি (logical expressions) তৈরি করা হয়।
  2. বুলি’অনে আলজেবরা: লজিক গেটের সাহায্যে জটিল ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন করা যায়। এটি বুলিয়ান অ্যালজেব্রার মূলনীতি অনুসরণ করে যেমন, ডেমোর্গ্যান থিওরেম, কনারডি থিওরেম ইত্যাদি।
  • ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন:
  1. কম্বিনেশনাল সার্কিট: বিভিন্ন লজিক গেটের মিশ্রণ যা ইনপুটের ওপর ভিত্তি করে আউটপুট নির্ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাডার, মাল্টিপ্লায়ার।
  2. সিকোয়ানশিয়াল সার্কিট: যা আউটপুট নির্ধারণ করতে পূর্বের ইনপুট এবং স্টেটস ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্লিপ-ফ্লপ, রেজিস্টার।

আরো বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ টপিক পড়তে ডাউনলোড করুন এইচএসসি আইসিটি Number System and Digital Device Lecture Sheet :

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top