HSC Physics 2nd Paper Suggestion

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র চূড়ান্ত সাজেশন ২০২৫ (PDF)

Advertisements

HSC Physics 2nd Paper Suggestion 2025 PDF: বিগত সালের বোর্ড প্রশ্ন ও শীর্ষস্থানীয় কলেজের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র সাজেশনটি আমরা তৈরি করেছি। এখানে আছে গুরুতাবপূর্ণ জ্ঞানমূলক, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা প্রশ্ন। সম্পূর্ণ সাজেশনটি পিডিএফ ডাউনলোড করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেখে নেওয়া যাক। তাহলে চলো, শুরু করি।


HSC Physics 2nd Paper Suggestion 2025

সৃজনশীল ‘ক’ এর জন্য (HSC Physics 2nd Paper Suggestion)

অধ্যায় -১: তাপগতিবিদ্যা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রটি বৃিবত কর।

উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরে সক্ষম এমন যন্ত্র নির্মাণ সম্ভব নয়।

Advertisements

২।  তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বিবৃত কর।

উত্তরঃ যখন কাজ সম্পূর্ণভাবে তাপে বা তাপ সম্পূর্ণভাবে কাজে রূপান্তরিত হয় তখন কাজ ও তাপ পরস্পরের সমানুপাতিক হয়।

৩। পানির ত্রৈধবিন্দু কাকে বলে?

উত্তরঃ যে তাপমাত্রা ও চাপে পানি একই সাথে কঠিন, তরল ও বায়বীয়রূপে তাপীয় সাম্যাবস্থায় অবস্থায় বিরাজ করতে পারে, তাকে পানির ত্রৈধবিন্দু বলে। পানির ত্রৈধবিন্দু 273.16 273.16K এবং 4.58 mm পারদ চাপ।

৪। ত্রৈধবিন্দু কাকে বলে?

উত্তর: যে তাপমাত্রা ও চাপে কোনো বস্তু একইসাথে কঠিন তরল ও বায়বীয়রূপে তাপীয় সাম্যাবস্থায় বিরাজ করতে পারে, তাকে ঐ বস্তুর ত্রৈধবিন্দু বলে।

৫। প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর যে প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে পারে এবং সম্মুখবর্তী ও বিপরীতমুখী প্রক্রিয়ার প্রতি স্তরে তাপ ও কাজের ফলাফল সমান ও বিপরীত সেই প্রক্রিয়াকে প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া বলে।

৬। তাপীয় সমতা কী?

উত্তর: যখন দুটি বস্তুর তাপমাত্রা সমান হয় তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় তাপীয় সমতা।

৭। অন্তঃস্থ শক্তি কী?

অথবা, অভ্যন্তরীণ শক্তি কী?

উত্তর: বস্তুর অভ্যন্তরস্থ অণু, পরমাণু ও মৌলিক কণাসমূহের রৈখিক গতি, স্পন্দন গতি ও ঘূর্ণনগতি এবং তাদের মধ্যকার বলের কারণে উদ্ভূত শক্তিকেই অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে। অর্থাৎ একটি সিস্টেমের সম্ভাব্য সকল প্রকার শক্তির সমষ্টিকে উক্ত সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে।

৮। তাপগতিবিদ্যার শূন্যতম সূত্রটি বিবৃত কর।

উত্তর: দুটি বস্তু যদি তৃতীয় কোনো বস্তুর (তাপমান যন্ত্র) সাথে পৃথকভাবে তাপীয় সাম্যাবস্থায় তাকে তবে প্রথমোক্ত বস্তু দুটিও পরস্পরের সাথে তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকবে।

৯। এনট্রপি কী?

উত্তর: কোনো সিস্টেমের শক্তি রূপান্তরের অক্ষমতা বা অসম্ভাব্যতাকে বা রূপান্তরের জন্য শক্তির অপ্রাপ্যতাকে এনট্রপি বলে।

১০। সিস্টেম কী?

উত্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা জড় জগতের যে নির্দিষ্ট অংশ বিবেচনা করি তাকে সিস্টেম বলে।

১১। মোলার তাপ ধারণ ক্ষমতা কাকে বলে?

উত্তর: কোনো পদার্থের 1 mole এর উষ্ণতা IK বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপকে ঐ পদার্থের মোলার তাপ ধারণ ক্ষমতা বলে।

১২। তাপ ইঞ্জিন কী?

উত্তর: যে যন্ত্র দ্বারা তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা যায় তাকে তাপ ইঞ্জিন বলে।

১৩। উষ্ণতা কাকে বলে?

উত্তর উষ্ণতা কোনো বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা ঐ বস্তু হতে অন্য বস্তুতে তাপের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাপ প্রবাহের অভিমুখ নির্ধারণ করে।

১৪। আপেক্ষিক তাপ কাকে বলে?

উত্তরা কোনো পদার্থের 1kg ভরের বস্তুর তাপমাত্রা 1K বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

১৫। সমোষ্ণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় কোনো গ্যাসের চাপ ও আয়তনের পরিবর্তন হয়, কিন্তু তাপমাত্রা স্থির থাকে, তাকে সমোষ্ণ প্রক্রিয়া বলে।

১৬। তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কী?

উত্তর: কোনো তাপ ইঞ্জিন দ্বারা কাজে রূপান্তরিত তাপশক্তির পরিমাণ এবং ইঞ্জিন দ্বারা শোষিত তাপশক্তির পরিমাণের অনুপাতকে তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বলে।

১৭। তাপীয় সিস্টেম কী?

উত্তর: তাপগতীয় সিস্টেম বলতে তল বা বেষ্টনী দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বস্তুকে বুঝায় যেখানে তাপগতীয় চলরাশি (P,V,T) পরিমাপ করা যায়।

১৮। অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে পারে না অর্থাৎ সম্মুখবর্তী। ও বিপরীতমুখী প্রক্রিয়ার প্রতি স্তরে তাপ ও কাজের ফলাফল সমান ও বিপরীত হয় না, তাকে অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া বলে।

১৯। রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া কী?

উত্তর যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় সিস্টেমের চাপ, তাপমাত্রা ও আয়তনের পরিবর্তন হয় কিন্তু পরিবেশের সাথে তাপের আদান-প্রদান হয় না অর্থাৎ এনট্রপি ধ্রুব থাকে তাকে রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া বলে।

২০। কার্নো চক্র কী?

উত্তর: ফরাসী বিজ্ঞানী সাদি কার্নো সকল দোষ-ত্রুটি মুক্ত একটি আদর্শ ইঞ্জিনের পরিকল্পনা করেন। এ ইঞ্জিনে চার ধাপ বিশিষ্ট যে চক্রের মাধ্যমে কার্য সম্পাদন হয় তাকে কার্নো চক্র বলে।

অধ্যায় – ২: স্থির তড়িৎ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। তড়িৎ দ্বিপোল কী?

উত্তর এক জোড়া সমান ও বিপরীত বিন্দু আধান অল্প দূরত্বে অবস্থিত থাকলে তাকে তড়িৎ দ্বিমেরু বা দ্বিপোল বলে।

২। তড়িৎ ফ্লাক্স কাকে বলে?

উত্তর কোনো তড়িৎ ক্ষেত্রে একটি বদ্ধ তল কল্পনা করলে ওই তলের মধ্য দিয়ে লম্বভাবে অতিক্রান্ত বলরেখার সংখ্যাকে তড়িৎ ফ্লাক্স বলে।

৩। ফ্যারাড কাকে বলে?

উত্তর কোনো ধারকের পাতদ্বয়ের বিভব । ভোল্ট বৃদ্ধি করতে যদি প্রত্যেক পাতে । কুলম্ব চার্জের প্রয়োজন হয়, তবে তার ধারকত্বকে 1 ফ্যারাড বলে।

৪। গাউসীয় তল কাকে বলে?

উত্তর। একটি চার্জের চারদিকে কল্পিত বদ্ধ তলকে গাউসীয় তল বলে।

৫। বিন্দু আধান কী?

উত্তর: আহিত বা চার্জিত বস্তুর আকার যখন খুবই ক্ষুদ্র হয়, তখন ঐ চার্জিত বস্তুর চার্জকে বিন্দু আধান বলা হয়।

৬। কুলম্ব কাকে বলে? (HSC Physics 2nd Paper Suggestion)

উত্তর: দুটি সমধর্মী ও সমপরিমাণ বিন্দু চার্জকে বায়ু বা শূন্য মাধ্যমে পরস্পর হতে 1 m দূরে স্থাপন করলে যদি এদের মধ্যে 9 × 10° N বিকর্ষণ বল ক্রিয়া করে তাহলে প্রত্যেকটি চার্জের পরিমাণকে একক চার্জ বা এক কুলম্ব চার্জ বলে।

৭। এক ইলেকট্রন ভোল্ট কাকে বলে?

উত্তর একটি ইলেকট্রনকে একক তড়িৎ বিভববিশিষ্ট দুটি বিন্দুর এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে নিতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, তাকে। ইলেকট্রন ভোল্ট বলে।

৮। তড়িৎ দ্বিমেরু ভ্রামক কাকে বলে?

উত্তর কোনো একটি তড়িৎ দ্বিমেরুর যেকোনো একটি চার্জের পরিমাণ এবং চার্জ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বের গুণফলকে দ্বিমেরু ভ্রামক (Dipole Moment) বলে।

৯। আধান ঘনত্ব কী?

উত্তরা পরিবাহীর পৃষ্ঠে কোনো বিন্দুর চারদিকে একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ চার্জ থাকে তাকে ঐ বিন্দুতে চার্জের তলমাত্রিক ঘনত্ব বলে।

১০। গাউসের সূত্রটি বিবৃত কর।

উত্তর কোনো বদ্ধতলের মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত মোট তড়িৎ ফ্লাক্স (PE), ঐ তল দ্বারা বেষ্টিত মোট চার্জের গুণের সমান।

১১। তড়িৎ দ্বিমেরু কাকে বলে?

উত্তরা দুইটি সমপরিমাণ কিন্তু বিপরীতধর্মী বিন্দু চার্জ পরস্পরের খুব কাছাকাছি থাকলে তাদেরকে একত্রে তড়িৎ দ্বিমেরু বলে।

১২। আধানের কোয়ান্টায়ন কী?

উত্তরের সকল চার্জিত বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান আধান বা চার্জ ইলেকট্রনের চার্জের পূর্ণ সংখ্যার ও সংখ্যার গুণিতক। একে আধানের কোয়ান্টায়ন বলে।

১৩। তড়িৎ বিভব কী?

চায়ের অসীম দূরত্ব হতে একটি একক ধনাত্মক চার্জকে। ক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয়, তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে।

১৪। ধারকত্বের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরা কোনো পরিবাহীর বিভব প্রতি একক বাড়াতে যে পরিমাণ আধানের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ পরিবাহীর ধারকত্ব বলে।

১৫। পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক কী?

উত্তরা কোনো মাধ্যমে একটি পরিবাহীর ধারকত্ব ও শূন্যস্থানে ঐ পরিবাহীর ধারকত্বের অনুপাতকে পরাবৈদ্যুতিক ধ্রুবক বলে।

১৬। পরাবৈদ্যুতিক মাধ্যম কী?

উত্তর: দুটি আধানের মধ্যবর্তী স্থানে কোনো অন্তরক পদার্থ থাকলে তাকে সাধারণত পরাবৈদ্যুতিক মাধ্যম বলা হয়।

১৭। পরাবিদ্যুৎ বা ডাই ইলেকট্রিক কী?

উত্তরা যে সকল অপরিবাহী পদার্থকে তড়িৎক্ষেত্রে স্থাপন করলে পোলারায়ন ঘটে তাদেরকে ডাইইলেকট্রিক বলে।

১৮। তড়িচ্চালক শক্তির সংজ্ঞা দাও।

উত্তর প্রতি একক আধানকে কোষসমেত কোনো বর্তনীর একবিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ কোষ যে তড়িৎশক্তি সরবরাহ করে তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

১৯। চার্জের তলমাত্রিক কাকে বলে?

উত্তর পরিবাহীর পৃষ্ঠের কোনো বিন্দুর চারদিকে প্রতি একক ক্ষেত্রফলের উপরস্থ আধানের পরিমাণকে চার্জের তলমাত্রিক ঘনত্ব বলে।

অধ্যায় -৩: চল তড়িৎ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শান্ট কাকে বলে?

উত্তর শান্ট হলো নিম্ন মানের রোধ যা গ্যালভানোমিটার বা গ্যালভানোমিটারের মতো সুবেদী যন্ত্রপাতিকে অত্যাধিক বিদ্যুৎ প্রবাহের হাত থেকে রক্ষার জন্য সমান্তরালে যুক্ত করা হয়।

২। তাড়নবেগ কী?

উত্তর কোনো কোষের দুই প্রান্ত একটি পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করলে পরিবাহীর মুক্ত ইলেকট্রনগুলো যে গড় বেগে প্রবাহিত হয় তাকে তাড়নবেগ বলে।

৩। রোধ কী? (HSC Physics 2nd Paper Suggestion)

উত্তর পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে পরিবাহীর রোধ বলে।

৪। কার্শফের ১ম সূত্র বিবৃত কর।

উত্তরঃ তড়িৎ বর্তনীর কোনো সংযোগ বিন্দুতে মিলিত প্রবাহগুলোর বীজগাণিতিক সমষ্টি শূন্য।

৫। মিটার ব্রিজ কী?

উত্তর: যে যন্ত্রে এক মিটার দৈর্ঘ্যের সুষম প্রস্থচ্ছেদের রোধবিশিষ্ট তার লাগিয়ে হুইটস্টোন ব্রিজ নীতির সাহায্যে কোনো তারের উপাদানের রোধ তথা আপেক্ষিক রোধ নির্ণয় করা যায় তাকে মিটার ব্রিজ বলে।

৬। কার্শফের দ্বিতীয় সূত্রটি বিবৃত কর।

উত্তরা কোনো আবদ্ধ তড়িৎ বর্তনীর বিভিন্ন অংশগুলোর রোধ এবং তাদের আনুষঙ্গিক প্রবাহের গুণফলের বীজগাণিতিক সমষ্টি ঐ বর্তনীর অন্তর্ভুক্ত মোট তড়িচ্চালক বলের সমান।

৭। তড়িৎ প্রবাহের জন্য তাপ উৎপাদন সংক্রান্ত জুলের সূত্রটি বিবৃত কর।

উত্তর পরিবাহীর রোধ (R) এবং প্রবাহকাল (t) অপরিবর্তিত থাকলে তড়িৎপ্রবাহের ফলে উদ্ভূত তাপ (H) তড়িৎ প্রবাহের (1) বর্গের সমানুপাতিক।

৮। প্রবাহ ঘনত্ব কী?

উত্তর কোনো পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের একক ক্ষেত্রফল দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুৎ প্রবাহকে প্রবাহ ঘনত্ব বলে।

৯। কিলোওয়াট-ঘণ্টা কী?

উত্তর 1 কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি যন্ত্র 1 ঘণ্টা কাজ করলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে 1 কিলোওয়াট-ঘণ্টা বলে।

১০। আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে?

উত্তর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্যের একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের কোনো পরিবাহকের রোধকে ঐ তাপমাত্রায় ঐ পরিবাহকের উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে।

১১। রোধের উষ্ণতা সহগ কাকে বলে?

উত্তর: ০°C তাপমাত্রার একক রোধের কোনো পরিবাহীর তাপমাত্রা প্রতি একক বৃদ্ধিতে তার রোধের যে বৃদ্ধি ঘটে তাকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধের উষ্ণতা সহগ বলে।

১২। কোষের তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে?

উত্তর: একক ধনাত্মক চার্জকে কোষসমেত কোনো বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে নিতে যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে। বলে।

১৩। তাপের যান্ত্রিক সমতা বলতে কী বুঝ?

উত্তরা একক তাপ উৎপন্ন করতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় বা একক তাপ দ্বারা যে পরিমাণ কাজ করা যায়। তাকে তাপের যান্ত্রিক সমতা বলে।

১৪। তড়িৎচালক শক্তি কী?

উত্তরা মুক্ত অবস্থায় কোনো কোষের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য সর্বোচ্চ হয়, বিভব পার্থক্যের এই সর্বোচ্চ মানকেই তড়িচ্চালক শক্তি বলা হয়।

১৫। তড়িচ্চালক বল কী?

উত্তর একক ধনাত্মক চার্জকে কোষসমেত কোনো বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে নিতে যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

১৬। তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে?

উত্তর তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে।

১৭। ইলেকট্রন ভোল্ট কাকে বলে?

উত্তর একটি বিন্দু থেকে 1V বিভব পার্থক্যের অন্য একটি বিন্দুতে একটি ইলেকট্রনকে সরাতে যে কাজ সম্পন্ন হয়, তাকে এক ইলেকট্রন ভোল্ট বলে।

১৮। তুল্যরোধ কী?

উত্তর একাধিক রোধের একটি সমাবেশকে যদি এমন রোধ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়, যাতে রোধের ঐ সমাবেশের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এবং এর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ নতুন রোধের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এবং এর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের সমান হয়। তবে নতুন রোধটিকে রোধের ঐ সমাবেশের তুল্যরোধ বলে।

অধ্যায় – ৭: ভৌত আলোকবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। হাইগেনসের নীতি লেখ।

উত্তর: কোনো তরঙ্গমুখের প্রতিটি বিন্দু এক একটি অণুতরঙ্গের বা গৌণ তরঙ্গের উৎস হিসেবে গণ্য হয়। ঐ অণুতরঙ্গসমূহ মূল তরঙ্গের সমান বেগে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। যেকোনো মুহূর্তে এ অণুতরঙ্গসমূহকে স্পর্শ করে যে সাধারণ স্পর্শক তল পাওয়া যায়, তা ঐ সময়ে তরঙ্গমুখের নতুন অবস্থান নির্দেশ করে।

২। তরঙ্গের ব্যতিচার কাকে বলে?

উত্তরা দুটি সুসঙ্গত উৎস হতে নিঃসৃত দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা বৃদ্ধি পায় আবার কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোনো তলে পর্যায়ক্রমে আলোক উজ্জ্বলতা বা অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। আলোর এই ঘটনাকে ব্যতিচার বলে।

৩। অপবর্তন কোণ কী?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট আলোকরশ্মি অপবর্তন চিড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় চিড়ের কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় চরমের সংযোগকারী রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে বেঁকে যায়, তাকে অপবর্তন কোণ বলে।

৪। তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ কী?

উত্তর: শূন্যস্থান দিয়ে আলোর দ্রুতিতে গতিশীল তড়িৎ ও চৌম্বক আলোড়ন, যাতে তড়িৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্র পরস্পর লম্ব এবং এরা উভয়ে তরঙ্গ সঞ্চালনের অভিমুখের সাথে লম্ব বরাবর থাকে তাকে তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ বলে।


আরো পড়ুন:

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র সাজেশন

HSC English 2nd Paper Final Suggestion

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র চূড়ান্ত সাজেশন


৫। তরঙ্গমুখ কাকে বলে?

উত্ত্যরও তরঙ্গস্থিত সমদশাসম্পন্ন কণাগুলো যে তলে অবস্থান করে তাকে সৃষ্ট তরঙ্গের তরঙ্গমুখ বলে।

৬। গৌণ উৎস কী?

উত্তর: কোনো একটি তরঙ্গমুখের উপর অবস্থিত প্রতিটি বিন্দু কম্পন বা আন্দোলনের এক একটি উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এই উৎসগুলোকে গৌণ উৎস বলে।

৭। পয়েন্টিং ভেক্টর কী?

উত্তর: কোনো তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গের গতিপথে লম্বভাবে স্থাপিত একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ শক্তি অতিক্রম করে তাকে পয়েন্টিং ভেক্টর বলে।

৮। ধ্বংসাত্মক ব্যতিচার কাকে বলে?

উত্তর দুটি সুসঙ্গত উৎস হতে নিঃসৃত কিন্তু একই তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং প্রায় সমান বিস্তারবিশিষ্ট দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দু অন্ধকার বা প্রায় অন্ধকার হয়ে গেলে তাকে ধ্বংসাত্মক ব্যতিচার বলে।

৯। আলোক বর্ষ কী?

উত্তরা এক বছরে আলোকরশ্মি যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে 1 আলোক বর্ষ বলে।

১০। অপবর্তন কাকে বলে?

উত্তর: কোনো প্রতিবন্ধকের কিনারা বা ধার ঘেঁষে বা সরু চিড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জ্যামিতিক ছায়া অঞ্চলের মধ্যে আলোর বেঁকে যাওয়ার ঘটনাকে আলোর অপবর্তন বলে।

১১। গ্রেটিং ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর: গ্রেটিং এর একটি চিড়ের শুরু থেকে পরবর্তী চিড়ের শুরু পর্যন্ত দূরত্বকে গ্রেটিং ধ্রুবক বলে।

১২। আলোর সমবর্তন কী?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন তলে কম্পমান আলোক তরঙ্গকে একটি নির্দিষ্ট তল বরাবর কম্পনক্ষম করা যায় তাকে আলোর সমবর্তন বলে।

১৩। সুসংগত উৎস কী? (HSC Physics 2nd Paper Suggestion)

উত্তর: দুটি উৎস থেকে সমদশায় বা কোনো নির্দিষ্ট দশা পার্থক্যের একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দুটি আলোক তরঙ্গ নিঃসৃত হলে তাদের সুসংগত উৎস বলে।

১৪। অপবর্তন গ্রেটিং কী?

উত্তর পাশাপাশি স্থাপিত অনেকগুলো সমপ্রন্থের সূক্ষ্ম চিড়সম্পন্ন পাতকে অপবর্তন গ্রেটিং বলে।

অধ্যায় – ৮: আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?

উত্তর যেসব প্রসঙ্গ কাঠামো পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুব বেগে গতিশীল নয়, তাদেরকে অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

২। কার্যাপেক্ষক কাকে বলে?

উত্তর ফটোতড়িৎ ক্রিয়ায় কোনো ধাতব পৃষ্ঠ হতে ইলেকট্রনের নিঃসরণের জন্য যে ন্যূনতম শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ ধাতুর কার্যাপেক্ষক বলে।

৩। কৃষ্ণবস্তু কাকে বলে?

উত্তর যে বস্তু আপতিত বিকিরিণের সম্পূর্ণটাই শোষণ করে, তাকে কৃষ্ণবস্তু বা Blackbody বলে।

৪। X রশ্মি কী?

উত্তর: দ্রুত গতিসম্পন্ন ইলেকট্রন কোনো ধাতুকে আঘাত করলে উচ্চ ভেদনক্ষমতা সম্পন্ন যে বিকিরণ উৎপন্ন হয়, তাকে X রশ্মি বলে।

৫। জড় প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?

উত্তরা পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুব বেগে গতিশীল যেসব প্রসঙ্গ কাঠামোতে জড়তার সূত্র এবং নিউটনের গতি সূত্র প্রযোজ্য হয় তাকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

৬। আপেক্ষিকতার প্রথম স্বীকার্য বিবৃত কর।

উত্তর “সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর গাণিতিক রূপ। রূপ একই থাকে”। অন্য কথায় বলা যায়, “পরস্পরের সাথে সমবেগে ধাবমান সকল প্রসঙ্গ কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো একইরূপ সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ যেতে পারে।”

৭। দৈর্ঘ্য সংকোচন কাকে বলে?

উত্তরা কোনো পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল বস্তুর দৈর্ঘ্য ঐ পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে নিশ্চল অবস্থায় ঐ একই বস্তুর দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট হয়, এ প্রভাবকে দৈর্ঘ্য সংকোচন বলে।

৮। ডি-ব্রগলির তরঙ্গ কী?

উত্তরা ডি-ব্রগলি আবিষ্কার করেন যে, প্রত্যেকটি চলমান বস্তুর সাথে একটা তরঙ্গ সংশ্লিষ্ঠ থাকে। এ তরঙ্গকে ডি-ব্রগলি তরঙ্গ বলে।

৯। ভরের আপেক্ষিকতা কাকে বলে?

উত্তর: আপেক্ষিকতা তত্ত্বানুসারে বস্তুর বেগের সাথে ভর বৃদ্ধি পায়। এ ঘটনাকে ভরের আপেক্ষিকতা বলে।

১০। ফটোতড়িৎ ক্রিয়া কী?

উত্তর যথোপযুক্ত উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট আলোক রশ্মি কোনো ধাতবপৃষ্ঠে আপতিত হলে তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, এ ঘটনাকে ফটোইলেকট্রিক ক্রিয়া বা আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বলে।

১১। সূচন কম্পাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর আপতিত ফোটনের কম্পাঙ্কের যে ন্যূনতম মানের জন্য ধাতব পৃষ্ঠ হতে ইলেকট্রন নির্গত হতে পারে, তাকে সূচন কম্পাঙ্ক বলে।

১২। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার দ্বিতীয় স্বীকার্যটি লিখ।

উত্তেজনার শূন্যস্থানে সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোর পর্যবেক্ষকের নিকট আলোর বেগ সর্বদা একই থাকে। এ বেগ আলোক প্রবাহের দিক, উৎস এবং পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক বেগের ওপর নির্ভর করে না।

১৩। কাল দীর্ঘায়ন কী?

উত্তরা কোনো পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল অবস্থায় সংঘটিত দুটি ঘটনার মধ্যবর্তী কাল ব্যবধান ঐ পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে নিশ্চল অবস্থায় সংঘটিত ঐ একই ঘটনাদ্বয়ের মধ্যবর্তী কাল ব্যবধানের চেয় বেশি হয়, এ প্রভাবকে কাল দীর্ঘায়ন বলে।

১৪। গ্যালিলীয় রূপান্তর কী?

উত্তর: চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের যে সকল সমীকরণ পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুববেগে গতিশীল দুটি প্রসঙ্গ কাঠামোর সময় ও স্থানাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে গ্যালিলীয় রূপান্তর বলে।

অধ্যায় – ৯: পরমাণুর মডেল এবং নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। বোর ব্যাসার্ধ কাকে বলে?

উত্তর: H-এর নিউক্লিয়াসের থেকে কক্ষপথের প্রথম e এর দূরত্বকে বোর ব্যাসার্ধ বলে।

২। রেডিও আইসোটোপ কী?

উত্তর: কতগুলো আইসোটোপে অল্প সময়ের জন্য কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা দেখা যায়, এদেরকে রেডিও বা তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে।

৩। আইসোটোপ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব নিউক্লাইডের প্রোটন সংখ্যা (Z) সমান, কিন্তু ভর সংখ্যা (A) ভিন্ন, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।

৪। ভরত্রুটি কী?

উত্তরার কোনো স্থায়ী নিউক্লিয়াসের ভর এর গঠনকারী উপাদানসমূহের মুক্তাবস্থায় ভরের যোগফলের চেয়ে কিছুটা কম হতে দেখা যায়। ভরের এ পার্থক্যকে ভরত্রুটি বলে।

৫। তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে?

উত্তর: তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।

৬। ক্ষয় ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর: কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের একটি পরমাণুর একক সময়ে ভাঙনের সম্ভাব্যতাকে ঐ পদার্থের ক্ষয় ধ্রুবক বলে।

৭। বন্ধন শক্তি কী? (HSC Physics 2nd Paper Suggestion)

উত্তর: কোনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিউক্লিয়ন একত্র করে একটি নিউক্লিয়াস গঠনের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি বলে।

৮। নিউক্লিয়াস কাকে বলে?

উত্তর পদার্থের পরমাণুর কেন্দ্রে অতি ক্ষুদ্র পরিসরে একটি ঘন জমাট ভারী গোলাকার বস্তুপিণ্ড রয়েছে। যেখানে, ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন ও চার্জ নিরপেক্ষ নিউট্রন বিদ্যমান। এর নাম নিউক্লিয়াস।

৯। নিউক্লিয়ার ফিশন কাকে বলে?

উত্তর যে বিশেষ ধরনের নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় একটি ভারী নিউক্লিয়াস প্রায় সমান ভর সংখ্যাবিশিষ্ট দুটি নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিশন বলে।

১০। বোরের পরমাণু মডেলের ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ সংক্রান্ত স্বীকার্য লিখ।

উত্তর: প্রতিটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ বা শক্তিস্তরে আবর্তনরত ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ নির্দিষ্ট এবং তা এর অখণ্ড বা পূর্ণ সংখ্যার 2π গুণিতক হবে। এখানে, h হলো প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক যার মান 6.626 × 10-34 Js

১১। গড় আয়ু কাকে বলে?

উত্তর: কোনো তেজস্ক্রিয় বস্তুখণ্ডের সবগুলো পরমাণুর আয়ুর যোগফলকে এর পরমাণুর প্রারম্ভিক সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে যে আয়ু পাওয়া যায় তাকে গড় আয়ু বলে।

১২। ‘1’ (এক) রাদারফোর্ড কী?

উত্তর: প্রতি সেকেন্ডে কোনো তেজস্ক্রিয় মৌলের 106 টি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভাঙনকে রাদারফোর্ড বলে।

১৩। নিউক্লিয়ন কাকে বলে?

উত্তরা সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসই এক বা একাধিক প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা গঠিত। এই প্রোটন এবং নিউট্রনগুলোকে একত্রে নিউক্লিয়ন বলে।

১৪। তেজস্ক্রিয় ক্ষয় সূত্রটি লিখ।

উত্তর: কোনো মুহূর্তে তেজস্ক্রিয় পরমাণুর ভাঙন বা অবক্ষয়ের হার ঐ সময়ে উপস্থিত অক্ষত পরমাণুর সংখ্যার সমানুপাতিক।

১৫। শৃঙ্খল বিক্রিয়া কী?

উত্তরঃ যে বিক্রিয়া একবার শুরু হলে তাকে চালিয়ে রাখার জন্য অতিরিক্ত কোনো শক্তির প্রয়োজন হয় না তাকে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলে।

১৬। পারমাণবিক ভর একক বলতে কী বুঝ?

উত্তর: একটি কার্বন-12 আইসোটোপের পারমাণবিক ভরের ভরের অংশকে পারমাণবিক ভর একক বলে।

অধ্যায় – ১০: সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিক্স জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট যোজ্যতাস্তরে থাকা ইলেকট্রনসমূহের শক্তির পাল্লাকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

২। অক্টাল নম্বর পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তর: যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ পর্যন্ত ৮টি অঙ্ক ব্যবহার করে সকল সংখ্যা প্রকাশ করা হয়, ঐ সংখ্যা পদ্ধতিকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

৩। সত্যক সারণি কী?

উত্তর: ইনপুট ও আউটপুট এর সম্ভাব্য মান এর সম্পর্ককে যে সারণি দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকেই সত্যক সারণি বলে।

৪। NAND গেইট কী?

উত্তর: যে বিশেষ লজিক গেইটের সবগুলো ইনপুটের মান 0 হলে আউটপুট। হয় এবং অন্যথায় আউটপুট 0 হয় তাকে NAND গেইট বলে।

৫। ডোপিং কী?

উত্তর পরিবাহিতা বৃদ্ধির জন্য বিশুদ্ধ অর্ধ-পরিবাহীর সাথে অপদ্রব্য মেশানোর প্রক্রিয়াকে ডোপিং বলে।

৬। ব্যান্ড তত্ত্ব কী?

উত্তর: যোজন ব্যান্ড ও পরিবহন ব্যান্ডের মধ্যে যে নিষিদ্ধ শক্তি ব্যবধান থাকে তার উপর ভিত্তি করে কঠিন পদার্থকে পরিবাহী, অর্ধপরিবাহী ও অন্তরক হিসেবে বিভক্ত করা হয়। যে তত্ত্বের সাহায্যে পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহী ধর্ম বর্ণনা করা হয় তাকে ব্যান্ড তত্ত্ব বলে।

৭। দাতা পরমাণু কাকে বলে?

উত্তরঃ বন্ধন গঠনের সময় যে সকল পরমাণু ইলেকট্রন দান করে, তাদেরকে দাতা পরমাণু বলে।

৮। মুক্ত ইলেকট্রন কী?

উত্তরা সুপরিবাহী পদার্থের ক্ষেত্রে পরমাণুর অসম্পূর্ণ বাইরের কক্ষপথের যোজন ইলেকট্রন এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। এদেরকেই মুক্ত ইলেকট্রন বলে।

৯। ডিপ্লেশন স্তর কী?

উত্তর: p-n সংযোগের দুইপাশে যে সরু স্তর ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানকে পৃথক করে রাখে, যেখানে গতিশীল আধান নিঃশেষ হয়ে যায় এবং কোনো গতিশীল আধান বাহকের অস্তিত্ব থাকে না তাকে ডিপ্লেশন স্তর বলে।

১০। সম্মুখ বায়াস বলতে কী বুঝ?

উত্তর যখন জাংশনে এমনভাবে বহিঃস্থ ভোল্টের প্রয়োগ করা হয় যাতে এটি বিভব প্রাচীর হ্রাস করে তড়িৎ প্রবাহ চালু করে তখন একে সম্মুখ বায়াস বলে।

১১। যুক্তি বর্তনী কী?

অথবা, লজিক গেট কাকে বলে?

উত্তর: যে সমস্ত ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিট এক বা একাধিক ইনপুট গ্রহণ করে এবং একটিমাত্র আউটপুট প্রদান করে এবং যুক্তিভিত্তিক সংকেতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকে যুক্তি বর্তনী বা লজিক গেট বলে।

১২। রেকটিফায়ার কী?

উত্তর যে বর্তনীর সাহায্যে পরিবর্তী প্রবাহকে একমুখী প্রবাহে পরিবর্তন করা হয় তাকে। b তাকে একমুখীকারক বা রেকটিফায়ার বলে।

১৩। বাইনারি কোড কী?

উত্তর যে কোড বা সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ ও। এই এই দুইটি মাত্র অঙ্ক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি কোড বলে।

১৪। পরিবহন ব্যান্ড কাকে বলে?

অথবা, শক্তি ব্যান্ড কী?

উত্তর পরমাণুতে অবস্থিত মুক্ত যোজন ইলেকট্রন তড়িৎ। তড়িৎ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে বলে এদেরকে পরিবহন ইলেকট্রন বলে। পরিবহন ইলেকট্রনগুলোর শক্তির পাল্লা বা ব্যান্ডকে পরিবহন বা শক্তি ব্যান্ড বলে।

১৫। p-n জাংশন কাকে বলে?

উত্তর: একটি p-টাইপ ও একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে সংযুক্ত করলে সংযোগ পৃষ্ঠকে p-n জাংশন বলে।

১৭। বহির্জাত অর্ধপরিবাহী কাকে বলে?

উত্তরা পরিবাহিতা বৃদ্ধির জন্য যেসকল অর্ধ-পরিবাহীতে অতি সামান্য অপদ্রব্য নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিশানো থাকে তাদেরকে বহির্জাত অর্ধ-পরিবাহী বলে।

১৮। অর্ধপরিবাহীর সংজ্ঞা দাও।

উত্তর যে সমস্ত পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অন্তরকের মাঝামাঝি, সেগুলোকে অর্ধপরিবাহী পদার্থ বলে।

১৯। ডিজিটাল ভোল্টেজ সংকেত কী?

উত্তর ডিজিটাল ভোল্টেজ সংকেত হচ্ছে ভোল্টেজের যে কোনো সম্ভাব্য মান বিবেচনা না করে শুধুমাত্র সুনির্ধারিত কিছু মান গ্রহণ করে প্রাপ্ত সংকেত।

২০। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তর যে সংখ্যা পদ্ধতির বেস 16 তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

২১। p-type অর্ধপরিবাহী কী?

উত্তরা কোনো বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীতে সামান্য পরিমাণে ত্রিযোজী মৌল অপদ্রব্য হিসেবে মেশানো হলে তাকে p-type অর্ধপরিবাহী বলে।

২২। লিকেজ প্রবাহ কাকে বলে?

উত্তর: কোনো ডায়োডের বিমুখী ঝোঁকের ক্ষেত্রে এর P-টাইপ এর লঘিষ্ট আধান বাহক ইলেকট্রন এবং n-টাইপ এর লঘিষ্ট আধান বাহক হোল এর জন্য খুবই সামান্য তড়িৎ প্রবাহ দেখা যায়। এ প্রবাহকে বিমুখী সম্পৃক্ত প্রবাহ বা লিকেজ প্রবাহ বলে।

২৩। ট্রানজিস্টর কী

উত্তর: তিন প্রান্তবিশিষ্ট যে ক্ষুদ্র অর্ধপরিবাহী যন্ত্রে বহির্মুখী প্রবাহ, ভোল্টেজ এবং ক্ষমতা অন্তর্মুখী প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।


HSC Physics 2nd Paper Suggestion 2025 PDF Download | এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র চূড়ান্ত সাজেশন ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড কর।

HSC Physics 2nd Paper Suggestion 2025 PDF Download | এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র চূড়ান্ত সাজেশন ২০২৫ পিডিএফ ডাউনলোড কর।

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top