মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৬ষ্ঠ অধ্যায় মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ নোট ২০২৫| সূত্র ও গাণিতিক সমস্যা PDF Download

Advertisements

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৬ষ্ঠ অধ্যায় মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে ।এই লেকচার শীটে অন্তর্ভুক্ত আছে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ: নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্র, অভিকর্ষীয় ত্বরণ, এবং মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের তত্ত্ব, মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবল্য ও মহাকর্ষীয় বিভব । তাই আর দেরি না করে আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ (Gravitation and Gravitation) – HSC Physics 1st Paper

১. মহাকর্ষের ধারণা

মহাকর্ষ হলো একটি মৌলিক প্রাকৃতিক শক্তি যা সকল বস্তুকে একে অপরের দিকে আকর্ষণ করে। এটি পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ, তারকা, এবং মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত।

ক. নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্র (Newton’s Law of Gravitation)

নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্র অনুসারে, যেকোনো দুইটি বস্তুর মধ্যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ সরাসরি তাদের ভরের গুণফল এবং বিপরীতভাবে তাদের মধ্যকার দূরত্বের বর্গের সাথে সম্পর্কিত। সূত্রটি হলো:

নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্র

এখানে,

Advertisements

F = মহাকর্ষীয় শক্তি

G = মহাকর্ষীয় ধ্রুবক (Gravitational constant)

m1 m2= দুইটি বস্তুর ভর

r = দুইটি বস্তুর মধ্যে দূরত্ব

খ. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র (Gravitational Field)

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র একটি অঞ্চল যেখানে একটি বস্তু মহাকর্ষীয় শক্তি অনুভব করে। একটি বস্তু স্থান পরিবর্তন করলে তার ওপর এই ক্ষেত্রের প্রভাব পরিবর্তিত হয়।

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের শক্তি g সাধারণত ভরের দিকে পরিমাপ করা হয়:

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র

এখানে,

F = মহাকর্ষীয় শক্তি

m = বস্তুটির ভর

২. অভিকর্ষের ধারণা

অভিকর্ষ হলো পৃথিবীর প্রতি যে শক্তি ব্যবহার করে কোনো বস্তুকে টেনে আনে তা অভিকর্ষ বলে। এটি পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ক্রমাগত নির্দেশিত এবং অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠের ওপর প্রভাব ফেলে।

ক. অভিকর্ষীয় ত্বরণ (Gravitational Acceleration)

অভিকর্ষীয় ত্বরণ পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রায়  9.8 , m/s^2। এটি পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে।

খ. অভিকর্ষের সূত্র (Weight)

বস্তুটির অভিকর্ষ শক্তি বা ওজন নির্ধারণের জন্য সূত্র হলো:

W = m . g

এখানে,

W = অভিকর্ষ শক্তি (Weight)

m= বস্তুটির ভর

g = অভিকর্ষীয় ত্বরণ

আরো পড়ুন :

৩. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র ও গ্রাভিটেশনাল পটেনশিয়াল (Gravitational Potential)

ক. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের শক্তি (Gravitational Field Strength)

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের শক্তি হলো:

মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের শক্তি

এখানে,

M = মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কেন্দ্রীয় ভর

r = কেন্দ্র থেকে দূরত্ব

খ. গ্রাভিটেশনাল পটেনশিয়াল (Gravitational Potential)

গ্রাভিটেশনাল পটেনশিয়াল হলো একটি স্থানীয় শক্তি যা একটি বস্তুর জন্য বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি হিসাব করা হয়:

গ্রাভিটেশনাল পটেনশিয়াল

এখানে,

V = গ্রাভিটেশনাল পটেনশিয়াল

M = কেন্দ্রীয় ভর

r = কেন্দ্র থেকে দূরত্ব

৪. মহাকর্ষীয় তত্ত্বের প্রভাব

ক. পৃষ্ঠের অভিকর্ষীয় ত্বরণ (Variation in Gravitational Acceleration)

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষীয় ত্বরণ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন পাহাড়ি অঞ্চলে বা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায়।

খ. মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (Gravitational Waves)

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হলো স্পেস-টাইমে পরিবর্তন যা মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট হয়। এটি সাধারণ আপেক্ষিকতার একটি পূর্বাভাস এবং এটি বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে।

৫. মহাকর্ষীয় অধ্যয়ন (Applications of Gravitation)

ক. স্যাটেলাইট ও অরবিট (Satellites and Orbits)

মহাকর্ষীয় শক্তি স্যাটেলাইটগুলির কক্ষপথ এবং অন্যান্য গ্রহগুলির মধ্যে গতির প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করে।

খ. পৃষ্ঠীয় অভিকর্ষ পরিমাপ (Surface Gravity Measurement)

ভূপৃষ্ঠের অভিকর্ষীয় ত্বরণ পরিমাপ করে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন এবং ভূগোলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

উপসংহার

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রভাব ফেলে এবং মহাকর্ষীয় তত্ত্বের মাধ্যমে মহাকাশের বস্তু এবং প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ করা হয়। মহাকর্ষীয় সূত্র, অভিকর্ষীয় ত্বরণ, এবং মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের তত্ত্ব এই অধ্যায়টি বুঝতে সহায়ক।

এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৬ষ্ঠ অধ্যায় মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :

Facebook
X
LinkedIn
Telegram
Print

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Stay Connected

Subscribe our Newsletter

Scroll to Top