বাক্য কাকে বলে? বাক্য হলো সেই সুবিন্যস্ত শব্দসমষ্টি যা বক্তার মনোভাব, ভাবনা বা অভিপ্রায় সম্পূর্ণরূপে এবং স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। এটি ভাষায় অনুভূতি, তথ্য, প্রশ্ন বা নির্দেশ প্রদান করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
বাক্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
১। ভাষার মূল উপকরণ বাক্য
২। বাক্যের মৌলিক উপাদান শব্দ।
৩। যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে।
৪। কতগুলো পদের সমষ্টিতে বাক্য গঠিত হলেও যে কোনো পদসমষ্টিই বাক্য নয়।
৫। বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।
৬। বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা মিলিতভাবে একটি অখণ্ড ভাব পূর্ণ রূপে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন
৭। বাক্যের তিনটি গুণ রয়েছে। যথাঃ আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা।
৮। আকাঙ্ক্ষা: বাক্যে কোনো অংশ শোনার পর বাকি অংশ শোনার যে ইচ্ছা তাই হলো আকাঙ্ক্ষা। মানে হচ্ছে এক পদ শোনার পর আরেক পদ শোনার ইচ্ছা। যেমন:
আমি তোমাকে…… এখানে শ্রোতার আরও কিছু অংশ শুনতে ইচ্ছা করবে। এবং উক্ত বাক্যে অর্থ পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। তাই এখানে আকাঙ্ক্ষার অভাব।
৯। যোগ্যতা: বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তগর্ত এবং ভাবগত মিলবন্ধনের নাম যোগ্যতা। যেমন: মনের বাড়িতে আশার বীজ উপ্ত হলো। কিন্তু আমরা জানি বীজ কখনো বাড়িতে উপ্ত হয় না। বীজ উপ্ত হয় মাঠে অথবা মাটিতে বা ক্ষেত্রে। তাই উক্তে বাক্যে যোগ্যতার অভাব। সঠিক বাক্য হবে: মনের ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হলো। এছাড়া, আকাশে হাতি ওড়ে। এই বাক্যে আসলেই কি হাতি আকাশে উড়ার ক্ষমতা রাখে? যেহেতু রাখে না তাই বাক্যে যোগ্যতার অভাব। এটার সঠিক বাক্য হবে: আকাশে পাখি ওড়ে।
১০। আসত্তি: বাক্যের পদগুলো সুবিন্যস্ত উপায়ে সাজানোই হলো আসত্তি। যেমন: থাকা মাঝেই সবার দেশপ্রেম উচিত। উক্ত বাক্যটি ঠিক ভাবে সাজানো নেই। তাই উক্ত বাক্যে আসত্তির অভাব। সঠিক বাক্য হবে: সবার মাঝেই দেশপ্রেম থাকা উচিত।
১১। বাক্যের অংশ দুইটি। যেমন: উদ্দেশ্য ও বিধেয়
১২। গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার: সরল বাক্য, মিশ্র বা জটিল বাক্য ও যৌগিক বাক্য
১৩। অর্থ অনুসারে বাক্য পাঁচ প্রকারঃ বিবৃতিসূচক, প্রশ্নোত্তরসূচক, আবেগসূচক /বিস্ময়সূচক, ইচ্ছাসূচক ও আদেশসূচক
১৪। দুর্বোধ্যতা: অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করলে বাক্যের যোগ্যতা বিনষ্ট হয়। যেমন: তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছ। (চাতুরী বা মায়া অর্থে কিন্তু বাংলা ‘প্রপঞ্চ’ শব্দটি অপ্রচলিত)। (বাক্য কাকে বলে)
১৫। উপমার ভুল প্রয়োগ: সঠিকভাবে উপমা অলংকার ব্যবহার না করলে যোগ্যতার হানি ঘটে। যেমন: আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো। বীজ ক্ষেত্রে বপন করা হয়, মন্দিরে নয়। কাজেই বাক্যটি হওয়া উচিত: আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হলো।
১৬। বাহুল্যদোষ: প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহারে বাহুল্যদোষ বটে এবং এর ফলে শব্দ তার যোগ্যতাগুণ হারিয়ে থাকে। যেমন: দেশের সব আলেমগণই এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন। ‘আলেমগণ’ বহু বচনবাচক শব্দ। এর সঙ্গে ‘সব’ শব্দটির অতিরিক্ত ব্যবহার বাহুল্যদোষ সৃষ্টি করেছে।
১৭। বাগধারার শব্দ পরিবর্তন: বাগধারা ভাষাবিশেষের ঐতিহ্য। এর যথেচ্ছ পরিবর্তন করলে শব্দ তার যোগ্যতা হারায়। যেমন: অরণ্যে রোদন (অর্থ: নিষ্ফল আবেদন)-এর পরিবর্তে যদি বলা হয়-‘বনে ক্রন্দন’ তবে বাগধারাটি তার যোগ্যতা হারাবে।
১৮। গুরুচণ্ডালী দোষ: তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো গুরুচণ্ডালী দোষ সৃষ্টি করে। এ দোষে দুষ্ট শব্দ তার যোগ্যতা হারায়। ‘গরুর গাড়ি’, ‘শবদাহ’, ‘মড়াপোড়া’ প্রভৃতি স্থলে যথাক্রমে ‘গরুর শকট’, ‘শবপোড়া’, ‘মড়াদাহ’ প্রভৃতির ব্যবহার গুরুচণ্ডালী দোষ সৃষ্টি করে। (বাক্য কাকে বলে)
১৯।প্রতিটি বাক্যে দুটি অংশ থাকে: উদ্দেশ্য ও বিধেয়
২০। বাক্যের যে অংশে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে।
২১। আর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা বলা হয় তাকে বিধেয় বলে।
২২। বিশেষ্য বা বিশেষ্যস্থানীয় অন্যান্য পদ বা পদসমষ্টিযোগে গঠিত বাক্যাংশও বাক্যের উদ্দেশ্য হতে পারে। যেমন:
- সৎ লোকেরাই প্রকৃত সুখী – বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত বিশেষণ
- মিথ্যা কথা বলা খুবই অন্যায় – ক্রিয়াজাত বাক্যাংশ
২৩। উদ্দেশ্যের প্রকারভেদ:
- একটিমাত্র পদবিশিষ্ট কর্তৃপদকে সরল উদ্দেশ্য বলে।
- উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিশেষণাদি যুক্ত থাকলে তাকে সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য বলে।
- বিশেষণ (কুখ্যাত) – কুখ্যাত দস্যুদল ধরা পড়েছে
- সম্বন্ধ যোগে – হাসিমের ভাই এসেছে
- সমার্থক বাক্যাংশ যোগে- যারা অত্যন্ত পরিশ্রমী তারাই উন্নতি করে।
- অসমাপিকা ক্রিয়াবিশেষণ যোগে – চাটুকার পরিবৃত হয়েই বড় সাহেব পদোন্নতি পেয়েছেন
- বিশেষণ স্থানীয় বাক্যাংশ যোগে – যার কথা তোমরা বলে থাক তিনি এসেছেন
- ক্রিয়া বিশেষণ যোগে – ঘোড়া দ্রুত চলে।
- ক্রিয়া বিশেষণীয় যোগে – জেট বিমান অতিশয় দ্রুত চলে।
- কারকাদি যোগে- ভুবনের ঘাটে ঘাটে ভাসিছে।
- ক্রিয়া বিশেষণ স্থানীয় বাক্যাংশ যোগে – তিনি যে ভাবেই হোক আসবেন।
- বিধেয় বিশেষণ যোগে – ইনি আমার বিশেষ অন্তরঙ্গ বন্ধু (হন)
২৪। যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন: পুকুরে পদ্মফুল জন্মে। এখানে ‘পদ্মফুল’ উদ্দেশ্য আর ‘জন্মে বিধেয়। (বাক্য কাকে বলে)
- এক বচনে সরল বাক্য: আমি গান গাই।
- বহুবচনে সরল বাক্য: আমরা গান গাই।
- পুকুরের পদ্মফুল জন্মে।
- মিথ্যাবাদীকে কেউ ভালোবাসে না।
- ধনীরা প্রায়ই কৃপণ।
- নির্বোধরা এ কথা বিশ্বাস করবে না।
- জ্ঞানীই সত্যিকারের ধনী।
২৫। একটা সরল বাক্যে এক বা একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতে পারে। যেমনঃ আমি তাকে দেখতে চাই। এখানে “দেখতে” হল অসমাপিকা ক্রিয়া। “চাই” হলো সমাপিকা ক্রিয়া। যেহেতু একটা সমাপিকা ক্রিয়া তাই বাক্যটি সরল।
২৬। যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। জটিল বাক্যে ২টি অংশঃ আশ্রিত বাক্য, প্রধান খণ্ডবাক্য
আশ্রিত বাক্য প্রধান খণ্ডবাক্য
যে পরিশ্রম করে সেই সুখ লাভ করে।
সে যে অপরাধ করেছে তা মুখ দেখেই বুঝেছি।
২৭। আশ্রিত খণ্ডবাক্য তিন প্রকার। যেমন: বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য, বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য, ক্রিয়াবিশেষণ স্থানীয় খণ্ডবাক্য
২৮। বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য / Noun: যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য / Subordinate clause প্রধান খণ্ডবাক্যের যে কোনো পদের আশ্রিত থেকে বিশেষ্যের কাজ করে তাকে বিশেষ্যস্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন: আমি মাঠে গিয়ে দেখলাম, খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। (বিশেষ্য স্থানীয় খণ্ডবাক্য ক্রিয়ার কর্মরূপে ব্যবহৃত) তিনি বাড়ি আছেন কিনা, আমি জানি না; সে যে উপস্থিত, তা সবাই দেখেছে; আমি মাঠে গিয়ে দেখলাম, খেলা শেষ হয়ে গেছে (জটিল বাক্যের মাঝে কমা থাকবে।)
২৯। বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য / Adjective clause: যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য প্রধান খণ্ডবাক্যের অন্তর্গত কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ ও অবস্থা প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন: লেখাপড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই। (আশ্রিত বাক্যটি ‘সেই’ সর্বনামের অবস্থা প্রকাশ করছে); খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি, আমার দেশের মাটি; ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা; যে এ সভায় অনুপস্থিত সে বড় দুর্ভাগা। (বাক্য কাকে বলে)
৩০। ক্রিয়াবিশেষণ স্থানীয় খণ্ডবাক্য / Adverbial clause: যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য ক্রিয়াপদের স্থান, কাল ও কারণ নির্দেশক অর্থে ব্যবহৃত হয় তাকে ক্রিয়াবিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন: যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে; তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি; যেখানে আকাশ আর সমুদ্র একাকার হয়ে গেছে সেখানেই দিকচক্রবাল; যতই করিবে দান, ততই যাবে বেড়ে।
৩১। যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
৩২। যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্যগুলো এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি প্রভৃতি অব্যয় যোগে সংযুক্ত বা সমন্বিত থাকে। যেমন: নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে কিন্তু কোনো পথ দেখাতে পারলেন না; বস্ত্র মলিন কেন, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে সে ধোপাকে গালি পাড়ে অথচ ধৌত বস্ত্রে তাহার গৃহ পরিপূর্ণ; উদয়াস্ত পরিশ্রম করব তথাপি অন্যের দ্বারস্থ হব না।
৩৩। অর্থের কোনোরূপ রূপান্তর না করে এক প্রকারের বাক্যকে অন্য প্রকার বাক্যে রূপান্তর করার নামই বাক্য রূপান্তর।
৩৪। মিশ্র বাক্যের ক্ষেত্রে যদি, তবে, যে, সে, যারা-তারা, যে-সেই, যেই-সেই, যে-তাকে/তারা, যা-তা, যেসব-তাদের/যেসকল-তারা, যাদের-তাদের/তারাই, যে-সেটি সংযোগচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
৩৫। সরল বাক্যকে মিশ্র বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোনো অংশকে খণ্ডবাক্যে পরিণত করতে হয়।
৩৬। বাক্য দুটির সংযোগ বিধানে সম্বন্ধসূচক (যদি, তবে, যে, সে প্রভৃতি) পদের সাহায্যে উক্ত খণ্ডবাক্য ও প্রধান বাক্যটিকে পরস্পর সাপেক্ষ করতে হয়।
৩৭। মিশ্র বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে মিশ্র বাক্যের অপ্রধান খণ্ডবাক্যটিকে সংকুচিত করে একটি পদ বা একটি বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়।
৩৮। সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে সরল বাক্যের কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যথাসম্ভব সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের প্রয়োগ করতে হয়।
৩৯। যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলেঃ
- বাক্যসমূহের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রাখতে হয়।
- অন্যান্য সমাপিকা ক্রিয়াকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হয়।
- অব্যয় পদ থাকলে তা বর্জন করতে হয়।
- কোনো কোনো স্থলে একটি বাক্যকে হেতুবোধক বাক্যাংশে পরিণত করতে হয়।
৪০। যৌগিক বাক্যকে মিশ্র বাক্যে রূপান্তরের ক্ষেত্রে যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত পরস্পর নিরপেক্ষ বাক্য দুটির প্রথমটির পূর্বে ‘যদি’ কিংবা ‘যদিও’ এবং দ্বিতীয়টির পূর্বে ‘তাহলে’ (তাহা হইলে) কিংবা ‘তথাপি’ অব্যয়গুলো ব্যবহার করতে হয়।
৪১। বাক্যের বিভিন্ন অংশ পৃথক করে তাদের পারস্পরিক সম্বন্ধ নির্ণয় প্রণালীকে বাক্য বিশ্লেষণ বলে।
আরো পড়ুন:
গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সমার্থক শব্দ ভান্ডার
প্রমিত বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম
সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
বাংলা ব্যাকরণ পদ প্রকরণ, পদ কত প্রকার কি কি
৪২। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য রুপান্তর
সরল: আমি তোমাকে নিতে এসেছি।
জটিল: যেহেতু আমি তোমাকে নিবো তাই আমি এসেছি।
সরল: আপনি গেলে আর ভাবনা কি?
জটিল: যদি আপনি যান তাহলে আর ভাবনা কি?
সরল: ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়।
জটিল: যারা ধনী তারা প্রায়ই কৃপণ।
যৌগিক: বিপদ ও দুঃখ এক সাথে আসে।
জটিল: যখন বিপদ আসে তখন দুঃখও আসে।
যৌগিক: তার টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করে না।
জটিল: যদিও তার টাকা আছে তথাপি তিনি দান করেন না।
জটিল: যদিও তার শক্তি নেই তথাপি সাহস আছে।
যৌগিক: তার শক্তি নেই কিন্তু সাহস আছে।
জটিল: যদি মন দিয়ে পড়ালেখা কর, ভবিষ্যতে সুখী হবে।
যৌগিক: মন দিয়ে পড়ালেখা কর; ভবিষ্যতে সুখী হবে।
জটিল: সে যা বলল, তার এক বর্ণও সত্য নয়।
সরল: তার কথার এক বর্ণও সত্য নয়
জটিল: যে মিথ্যা কথা বলে তাকে কেউ পছন্দ করে না।
সরল: মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না।
যৌগিক: রাত শেষ হলো এবং সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো।
সরল: রাত শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো।
যৌগিক: সত্য কথা স্বীকার কর, নতুবা শাস্তি পাবে।
সরল: সত্য কথা স্বীকার করলে শাস্তি পাবে না।
যৌগিক: তার বয়স হয়েছে কিন্তু বুদ্ধি হয় নি।
সরল: তার বয়স হলেও বুদ্ধি হয় নি।
সরল: আমি বহু কষ্টে অর্থ উপার্জন করেছি।
যৌগিক: আমি বহু কষ্ট করেছি ফলে অর্থ উপার্জন করেছি।
সরল: কাজ অনুযায়ী ফল পাবে।
জটিল: যেমন কাজ করবে, তেমন ফল পাবে।
যৌগিক: মেঘ গর্জন করে তবে ময়ূর নৃত্য করে।
জটিল: যখন মেঘ গর্জন করে, তখন ময়ূর নৃত্য করে।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: বাক্য কাকে বলে (নিজে কর)
১) মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে কোন ধরনের বাক্য?
ক) সরল
খ) জটিল
গ) যৌগিক
ঘ) অনুজ্ঞা
২) জটিল বাক্যের খণ্ড বাক্যের পরে কী বসে?
ক) কোলন
খ) সেমি কোলন
গ) কমা
ঘ) দাড়ি
৩) যদি এই কাজ করো, তাহলে মুক্তি পাবে কোন ধরনের বাক্য?
ক) সরল
খ) মিশ্র
গ) যৌগিক
ঘ) প্রশ্নবোধক
৪) আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, যোগ্যতা কিসের গুণাবলি?
ক) ধ্বনি
খ) শব্দ
গ) অক্ষর
ঘ) বাক্য
৫) টাকা দাও; ছাড়া পাবে এটি কোন ধরনের বাক্য?
ক) জটিল
খ) যৌগিক
গ) বিবৃতি
ঘ) সরল
৬) যেমন কাজ করবে তেমন ফল পাবে বাক্যটির সরল রূপ কী?
ক) যেমন কর্ম তেমন ফল।
খ) কাজেই ফলের পরিচয়।
গ) কাজ অনুযায়ী ফল পাবে।
ঘ) কাজের উপর ফল নির্ভর করে।
৭) গঠন অনুসারে বাক্য কতপ্রকার?
ক) ৩
খ) ৪
গ) ৫
ঘ) ৭
৮) জটিল বাক্যের কয়টি খণ্ড বাক্য বাক্য থাকে?
ক) ৩
খ) থাকে না
গ) ১
ঘ) ২
৯) সকল শিক্ষকগণ কথাটি সমর্থন করেন। কোন ধরনের ভুল আছে?
ক) উপমার ভুল প্রয়োগ
খ) বাহুল্য দোষ
গ) গুরুচন্ডালি দোষ
ঘ) যোগ্যতার অভাব
১০) হাতিরা আকাশে ওড়ে বাক্য এ কিসের অভাব?
ক) আকাঙ্ক্ষা
খ) আসক্তি
গ) যোগ্যতা
ঘ) অর্থ অস্পষ্ট
বাক্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ (PDF) লেকচার শীট ডাউনলোড কর।