বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের ইতিহাস ( ১২০১-১৮০০ খ্রি): বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রি) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলির প্রভাব ছিল দৃশ্যমান। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, উপন্যাস ও নাটক এই যুগে নতুন রূপে বিকশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে সৃষ্টি হয়েছে অমূল্য সাহিত্যিক রচনা যা পরবর্তী সময়ে সাহিত্যিক আন্দোলন এবং সংস্কৃতির বিকাশে প্রভাব ফেলেছে। তাহলে চলো, শুরু করি।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সময়কাল ( ১২০১-১৮০০ খ্রি)
১। সময়সীমাঃ ১২০১-১৮০০ খ্রি. পর্যন্ত সময়সীমাকে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ ধরা হয়।
২। শাসনামলভিত্তিক মধ্যযুগের শ্রেণিবিভাগঃ
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সবটুকুই মুসলিম শাসনের অন্তর্গত। এ সময়টুকুকে তিনভাগে বিভাজন করা যায়। যথা:
১. তুর্কি যুগ (১২০০-১৩৫০)।
২. সুলতানি যুগ (১৩৫১-১৫৭৫)।
৩. মুঘল যুগ (১৫৭৬-১৭৫৭)।
৩। রাজভাষাঃ ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলে রাজভাষা ছিল- ফারসি।
৪। তুর্কি যুগ ও সাহিত্য (১২০০-১৩৫০)ঃ এ সময়টাকে (১২০০-১৩৫০) বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বা তামস যুগ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ সময়ে তেমন কোনো সাহিত্য রচিত হয়নি।
৫। সুলতানি যুগ ও সাহিত্য (১৩৫১-১৫৭৫)ঃ
- গৌড়কে কেন্দ্র করে এ সময়ে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ হয় বলে একে গৌড়ীয় যুগও বলা হয়।
- গিয়াস উদ্দীন আযম শাহ’র আমলে শাহ মুহাম্মদ সগীর রচনা করেন ‘ইউসুফ জুলেখা’।
- শাহ মুহম্মদ সগীর, গিয়াসউদ্দীন আযম শাহের রাজকর্মচারী ছিলেন।
- গিয়াস উদ্দীন আযম শাহের সঙ্গে পারস্যের কবি হাফিজের পত্রালাপ হয়।
- জালালুদ্দীন মাহমুদ শাহ’র আমলে কৃত্তিবাস রচনা করেন ‘রামায়ণ’।
- নাসিরুদ্দীন নুসরত শাহ’র আমলে কবীন্দ্র পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ অনুবাদ করেন।
- আলাউদ্দীন হোসেন শাহ বাংলা সাহিত্যে অনুবাদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত।
৬। আদি নিদর্শন ও আদিকবিঃ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য’ মধ্যযুগের আদি নিদর্শন এবং আদিকবি বড়ু চণ্ডীদাস।
৭। কাব্যের প্রধান গুণঃ ধর্মপ্রচার ও দেব-দেবীর মাহাত্ম্যকীর্তনই ছিল মধ্যযুগের কাব্যের প্রধান গুণ।
৮। মুঘল যুগ ও সাহিত্য (১৫৭৬-১৭৫৭)ঃ
- মুঘল আমলে আরাকান রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমান কবিগণ প্রণয়কাব্য রচনা করেন।
- এ সময় সম্রাট আকবরের সভাকবি আবুল ফজল রচনা করেন ‘আইন-ই-আকবরি’।
৯। সাহিত্যধারাঃ
- মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের ধারা দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। যথা: ১. মৌলিক সাহিত্য এবং ২. অনুবাদ সাহিত্য।
- মৌলিক সাহিত্যের শ্রেণিবিভাগ: বৈষ্ণব পদাবলি, জীবনীসাহিত্য, মঙ্গলকাব্য, লোকসাহিত্য, নাথসাহিত্য, আরাকান সাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান, মর্সিয়া সাহিত্য এবং কবিওয়ালা ও শায়ের।
- অনুবাদ সাহিত্য: আরবি-ফারসি-হিন্দি ভাষা এবং সংস্কৃত ভাষা থেকে অনূদিত হয়।
১০। মধ্যযুগের সাহিত্যধারা বিভক্তঃ
- মধ্যযুগের সাহিত্যধারা ৩ ভাগে বিভক্ত। যথা:
১. প্রাক-চৈতন্য যুগ (১৩৫১-১৫০০)
২. চৈতন্যযুগ (১৫০১-১৬০০)
৩. চৈতন্য পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৮০০)।
অবক্ষয় যুগ/যুগ সন্ধিক্ষণ (১৭৬০-১৮৬০ খ্রি.)
১১। অবক্ষয় যুগঃ মধ্যযুগের শেষ আর আধুনিক যুগের শুরুর সময়টুকুকে যুগ সন্ধিক্ষণ বা ‘অবক্ষয় যুগ’ বলা হয়েছে।
১২। কারো কারো মতে, এ সময়টা ‘যুগ সন্ধিক্ষণ’ নামে আখ্যায়িত হওয়া উচিত।
১৩। সৈয়দ আলী আহসান এ সময়কে ‘প্রায় শূন্যতার’ যুগ বলেছেন।
১৪। এ সময়ের একমাত্র প্রতিনিধি হচ্ছেন কবি ‘ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত’।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ সময়কাল
১। মধ্যযুগ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগ ধরা হয় (১২০০-১৮০০)
২। মধ্যযুগ তিনভাগে বিভক্ত।
৩। আদি-মধ্যযুগ এর সময়কাল (১২০০-১৩৫০)
৪। মধ্য-মধ্যযুগ সময়কাল (১৩৫০-১৭০০)
৫। অন্ত্য-মধ্যযুগ সময়কাল (১৭০০-১৮০০)।
৬। আদি-মধ্যযুগে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয় না।
৭। মধ্যযুগের প্রথম ১৫০ বছরকে বলা হয় অন্ধকার যুগ।
৮। অন্ধকার যুগ এর সময়কাল (১২০১-১৩৫০ সাল)।
৯। বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ শুরু হয় বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে।
১০। মধ্যযুগের কাব্যধারার প্রধান ধারা ৪টি।
১১। প্রধান ধারা ৪টি হলঃ মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী, রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান, অনুবাদ সাহিত্য।
১২। মধ্যযুগের আদি নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
১৩। মধ্যযুগের মুসলমান সাহিত্যিকদের কৃতিত্ব রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান রচনা।
১৪। মধ্যযুগের সাহিত্যধারা বিভক্ত ৩ ভাগে।
১৫। ৩ ভাগ হলোঃ প্রাক-চৈতন্যযুগ, চৈতন্যযুগ, চৈতন্য পরবর্তী যুগ।
১৬। প্রাক-চৈতন্যযুগ এর সময়কাল ১২০১-১৫০০।
১৭। চৈতন্যযুগ এর সময়কাল ১৫০১-১৬০০।
১৮। চৈতন্য পরবর্তী যুগ এর সময়কাল ১৬০১-১৮০০।
১৯। মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
২০। মধ্যযুগের প্রধান মুসলিম কবি দৌলত কাজী ও আলাওল।
২১। অন্ধকার যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম রামাই পণ্ডিতের শূন্যপূরাণ হলায়ুধ মিশ্রের “সেক শুভোদয়া”।
২২। চণ্ডীদাস রচিত মধ্যযুগের প্রথম কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
২৩। গ্রন্থ হিসেবে বাংলাসাহিত্যে দ্বিতীয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
২৪। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে খণ্ড- আছে ১৩টি। (জন্ম, তাম্বুল, দান, নৌকা, ভার, ছত্র, বৃন্দাবন, কলিয়দমন, যমুনা, হার, বাণ, বংশী, বিরহ)
২৫। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
২৬। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দৃতি।
২৭। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য উদ্ধার করেন-বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ (১৯০৯ সালে)।
২৮। বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় কাব্যটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
২৯। বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা চণ্ডীদাস।
৩০। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ সম্পদ বৈষ্ণব পদাবলী।
৩১। বৈষ্ণব পদাবলীর মহাকবি বলা হয় বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, বলরাম দাস প্রমুখকে।
৩২। বৈষ্ণব পদাবলীর অধিকাংশ পদ রচিত ব্রজবুলি ভাষায়।
৩৩। ব্রজবুলি ভাষা হলো একটি কৃত্রিম ভাষা।
৩৪। বাংলা ও মৈথিলী ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি ব্রজবুলি ভাষা।
৩৫। বৈষ্ণব গীতিতে ৫ টি রসের উল্লেখ পাওয়া যায়। যথা: শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর
৩৬। বৈষ্ণব পদাবলী প্রথম সংকলন করেন-আউল মনোহর দাস
৩৭। বৈষ্ণব পদাবলীর যে কবি অলংকার শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন- গোবিন্দ দাস
৩৮। কবি জয়দেব বাঙালি কবি ছিলেন।
৩৯। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্ম বিষয়ক আখ্যান কাব্য হলো মঙ্গলকাব্য।
৪০। মঙ্গলকাব্যের মূল উপজীব্য দেবদেবীর গুণগান।
৪১। বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্য ধারার প্রাচীনতম ধারা মনসামঙ্গল। মনসামঙ্গলের আদি কবি কানা হরিদত্ত।
৪২। মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম পদ্মপুরাণ।
৪৩। এই কাব্যের আদি কবি হরিদত্ত
৪৪। এই কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি বিজয়গুপ্ত
৪৫। সাপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসার অপর নাম কেতকা ও পদ্মাবতী
৪৬। মানিক দত্ত হলেন চণ্ডীমঙ্গলের আদি কবি।
৪৭। কবিকঙ্কন হলো মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি।
৪৮। চন্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র কালকেতু।
৪৯। চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত চন্ডী দেবীর কাহিনী অবলম্বনে। এই কাব্যের অপরনাম অভয়ামঙগল। এই কাব্যধারায় কবি দ্বিজ মাধবকে বলা হয় স্বভাব কবি।
৫০। কবি মুকুন্দরামের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনী কাব্য কালকেতু
৫১। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র ভাড়-দত্ত।
৫২। দেবী অন্নদার বন্দনা আছে অন্নদামঙ্গল কাব্যে।
৫৩। অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি ভারতচন্দ্র রায়।
৫৪। ভারতচন্দ্রের উপাধি রায়গুণাকর।
৫৫। অন্নদামঙ্গল বিভক্ত -৩ খণ্ডে। প্রধান চরিত্র ঈশ্বরী পাটুনী, হীরামালিনী, বিদ্যাসুন্দর।
৫৬। ধর্ম ঠাকুরের মাহাত্ম প্রচারের জন্য সূত্রপাত হয়েছে ধর্মমঙ্গল কাব্যের।
৫৭। ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রথম কবি ময়ূরভূট্ট।
৫৮। ধর্মমঙগলের প্রধান ২ জন কবি রূপরাম ও ঘনরাম। এই কাব্য ২ টি পালায় বিভক্ত। এখানে রয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক উপাদান।
৫৯। দেবী কালীর মাহাত্ম্য বর্ণনামূলক গ্রন্থ কালিকামঙ্গল।
৬০। কালিকামঙ্গলের আদি কবি কবি কঙ্ক। কবির বাড়ি কিশোরগঞ্জ।
৬১। কালিকা নামক অভিহিত কাব্য ধারাকে বলা হয় বিদ্যাসুন্দর। এই কাব্যের বিশিষ্ট কবি রামপ্রসাদ সেন।
৬২। মর্সিয়া শব্দের অর্থ শোক প্রকাশ করা। এটি এক ধরনের শোক প্রকাশক কাব্য।
৬৩। দৌলত উজির বাহরাম খান ও শেখ ফয়জুল্লাহ হলেন দুই জন উল্লেখযোগ্য মর্সিয়া সাহিত্য রচনাকারী। এছাড়া আরও কবি হলেন সেবরাজ চৌধুরী, সৈয়দ সুলতান।
৬৪। জঙ্গনামা কাব্য রচনা করেছিলেন দৌলত উজির বাহরাম খান।
৬৫। মধ্যযুগে রচিত শিব উপাসক এক শ্রেণির ধর্মপ্রচারকারী সাহিত্য নাথ সাহিত্য।
৬৬। নাথ শব্দের অর্থ প্রভু। নাথ ধর্মের আদিগুরু শিব। নাথ সাহিত্য প্রথম সংগ্রহ করা হয়- ১৮৭৮ সালে
৬৭। নাথ সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা গোরক্ষ বিজয়।
৬৮। গোরক্ষ বিজয়ের রচয়িতা শেখ ফয়জুল্লাহ।
৬৯।বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে কবিরা হাত দিয়েছিলেন অনুবাদ সাহিত্যে।
৭০। পৃথিবীতে জাত মহাকাব্য ৪টি।
৭১। জাত মহাকাব্য ৪টি হলোঃ রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড ও ওডেসি।
৭২। মহাভারত রচিত হয় সংস্কৃত ভাষায়। মহাভারত ১৮ খণ্ডে খণ্ডে রচিত হয়। মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা ৮৫০০০। চরিত্র: কর্ণ, অর্জুন, দ্রোপদী প্রমুখ। কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র দ্রোপদী। মূল রচিয়তা – বেদব্যাস
৭৩। মহাভারত প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর। শ্রেষ্ঠ অনুবাদক- কাশীরাম দাস।
৭৪। রামায়ণ লিখেন বাল্মীকি। বাল্মীকির মূল নাম রত্নাকার দস্যু।
৭৫। বাল্মীকি’ অর্থ উইপোকা টিভি।
৭৬। রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি কৃত্তিবাস ওঝা (পনের শতকের কবি)।
৭৭। রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানমধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান।
৭৮। বাংলা ভাষায় প্রথম মুসলমান কবির নাম শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
আরো পড়ুন:
৭৯। দৌলত উজিরবাহরাম খাঁন রচিত ‘লায়লী-মজনু’ কাব্য পারসিয়ান কবি জামি’র ‘লায়লা ওয়া মজনুন কাব্যের ভাবানুবাদ।
৮০। আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙালি কবি দৌলত কাজী।
৮১। আরাকান রাজসভার উল্লেখযোগ্য কবি আলাওল, দৌলত কাজী কোরেশী, মাগন ঠাকুর।
৮২। গাঁথা, কাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ লোকসাহিত্যের আওতাভুক্ত। লোকসাহিত্যের -প্রাচীনতম নিদর্শন ছড়া/প্রবচন ও ধাঁধা।
৮৩। ড. দীনেশচন্দ্র সেনের আগ্রহে ও স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গীতিকাগুলো সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে।
৮৪। ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি প্রভৃতি রূপকথার বই সম্পাদনা করেন দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
৮৫। Ballad অর্থ গীতিকা।
৮৬। মৈমনসিংহ গীতিকা সম্পাদনা করেন ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
৮৭। কবিওয়ালা ও পুঁথি সাহিত্য কবিওয়ালাদের মধ্যে প্রাচীন কবি গোঁজলা গুই।
৮৯। দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের প্রথম ও সার্থক কবি ফকির গরীবুল্লাহ, সৈয়দ হামজা, মোহাম্মদ দানেশ।
৯০। বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত।
৯১। নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?’- পঙ্গত্তিটি রচনা করেন রামনিধি গুপ্ত।
৯২। পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক সৈয়দ হামজা।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের (নিজে চেষ্টা কর)
১) চন্দ্রাবতী কী?
ক) নাটক
খ) কাব্য
গ) পাল্লাগান
ঘ) উপন্যাস
২) কবি গানের প্রথম লেখক কে?
ক) গোজলা গুই
খ) হরি ঠাকুর
গ) জয় নন্দী
ঘ) জ্ঞান দাস
৩) ব্রজবুলি কোন স্থানের ভাষা?
ক) আসাম
খ) মিথিলা
গ) গৌড়
ঘ) পশ্চিমবঙ্গ
৪) রামায়ণ কোন কবির রচনা?
ক) কালিদাস
খ) চণ্ডীদাস
গ) বেদব্যাস
ঘ) বাল্মীকি
৫) বিদ্যাপতি কোন রাজ সভার কবি?
ক) মিথিলা
খ) বিক্রমপুর
গ) কৃষ্ণনগর
ঘ) কলকাতা
৬) দ্রোপদী-
ক) রামাণয়ে সীতার সহযোগী
খ) মহাভারতে দুর্যোনের স্ত্রী
গ) রামায়ণে মহাভারতে প্রণয়পার্থী নারী
ঘ) মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
৭) তোহফা কোন ধরনের কাব্য?
ক) আত্মজীবনী
খ) প্রণয়কাব্য
গ) নীতিকাব্য
ঘ) জঙ্গনামা
৮) কে বাংলা ভাষার কবি নন?
ক) জ্ঞানদাস
খ) জয়দেব
গ) মুকুন্দরাম
ঘ) চণ্ডীদাস
৯) চৈতন্য জীবনী কাব্যের শেষ্ঠ কবি?
ক) জয়ানন্দ
খ) কৃষ্ণরাজ কবিরাজ
গ) বৃন্দাবন দাস
ঘ) পরমানন্দ সেন
১০) লিপিমালা কে রচনা করেছেন?
ক) কাশীরাম দাস
খ) দ্বিজরাম দাস
গ) রাম রাম বসু
ঘ) মুক্তরাম সেম
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগের মধ্যযুগের ইতিহাস ( ১২০১-১৮০০ খ্রি) | বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সময়কাল ( ১২০১-১৮০০ খ্রি) লেকচার শীট পিডিএফ ডাউনলোড করুন।