বাংলা ভূখণ্ডের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো একটি ধারাবাহিক ইতিহাস, যেখানে প্রাচীন সভ্যতা, রাজবংশ, উপনিবেশিক শাসন ও স্বাধীনতা আন্দোলন একত্রে মিশে আছে। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, মুঘল থেকে ব্রিটিশ শাসন এবং শেষে বাংলাদেশের জন্ম — সবই এই ইতিহাসের অংশ। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারায় বাংলা এক বহুমাত্রিক পরিচয়ে গড়ে উঠেছে।
বাংলা ভূখণ্ডের ইতিহাস PDF
১। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (The People’s Republic of Bangladesh) (সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদ)
২। বাংলাদেশে স্বাধীনতা লাভ করেছে- ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর।
৩। বাংলাদেশের রাজধানী- ঢাকা।
৪। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী- চট্টগ্রাম।
৫। বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়- ২৬শে মার্চ।
৬। বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালিত হয়- ১৬ই ডিসেম্বর।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু
১। বাংলাদেশের জলবায়ুর ধরন- উপ-ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু।
২। বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থান নাটোরের লালপুর।
৩। বাংলাদেশের উষ্ণতম জেলা রাজশাহী।
৪। বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল।
৫। সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত – নাটোরের লালপুর।
৬। বাংলাদেশের শীতলতম স্থান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল।
৭। বাংলাদেশের শীতলতম জেলা সিলেট।
৮। বাংলাদেশের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারি।
৯। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত – সিলেটের লালখান।
১০। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৮০% হয় বর্ষাকালে ও ২০% হয় গ্রীষ্মকালে।
১১। বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ঋতু – বর্ষাকাল।
১২। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.০১° সেলসিয়াস
১৩। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত – ২০৩ সে. মি.।
১৪। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর (SPARRSO) – ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত যা ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।
১৫। বাংলাদেশের মোট আবহাওয়া কেন্দ্র ৪টি (ঢাকা, পতেঙ্গা, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী) এবং মোট আবহাওয়া অফিস ৩৫টি।
১৬। সমুদ্রবন্দরের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্ক সংকেত – ১১টি।
১৭। নদীবন্দরের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্ক সংকেত ৪টি।
১৮। সিডর- সিংহলি ভাষার শব্দ যার অর্থ চোখ।
১৯। সুনামি – জাপানী ভাষার শব্দ যার অর্থ সাগরের ঢেউ।
২০। আইলা – মালদ্বীপের দিবেহী ভাষার শব্দ যার অর্থ ডলফিন জাতীয় প্রাণী।
২১। বাংলাদেশে আঘাত হানা কিছু ঘূর্ণিঝড় –
- সিডর ১৫ নভেম্বর, ২০০৭
- আইলা ২৫ মে, ২০০৯
- মহাসেন ১৬ মে, ২০১৩
২২। সিডর আক্রান্ত এলাকায় মার্কিন সেনাবাহিনীর পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম অপারেশন সি অ্যাঞ্জেল-২।
বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা
১। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নাম ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
২। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ৩ ভাগে বিভক্ত। যথা স্থল পথ, জল পথ ও আকাশ পথ।
সড়ক যোগাযোগ
প্রধান প্রধান সেতু-
১। বঙ্গবন্ধু (যমুনা) সেতুঃ এটি বিশ্বের ১২তম এবং এশিয়ার ৫ম দীর্ঘতম সড়ক সেতু। এর পূর্বনাম যমুনা বহুমূখী সেতু।
২। পদ্মা সেতুঃ নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কি.মি. এবং প্রস্থ হবে ১৮.১০ মিটার। এতে পাইল ও পিলারের সংখ্যা হবে যথাক্রমে ২৪০টি ও ৪২টি।
৩। লালন শাহ্ সেতুঃ এটি পদ্মা নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু সেতুটি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও পাবনা জেলার পাকশী পয়েন্টে অবস্থিত।
৪। বাংলাদেশের ফ্লাইওভারসমূহ- মহাখালী ফ্লাইওভার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, এম এ মান্নান ফ্লাইওভার।
৫। মেট্রোরেলঃ রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলছে প্রকল্পটির রুট হবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। ২০.১ কি.মি. এ লাইনে স্টেশন থাকবে ১৬ টি।
৬। স্থলবন্দরঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোর জেলায় অবস্থিত। মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর টেকনাফ। সর্বশেষ সিলেটের ভোলাগঞ্জ স্থল বন্দরসহ মোট ২৪টি স্থল বন্দর রয়েছে, তন্মধ্যে চালু রয়েছে ১৪টি।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা
১। বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলস্টেশন- কমলাপুর রেলস্টেশন
২। বর্তমান বাংলাদেশে রেলপথ রয়েছে- ৪৪টি জেলায়।
৩। কোনো রেল পথ নেই বরিশাল বিভাগে।
৪। বাংলাদেশের ২০ টি জেলায় রেলপথ নেই।
৫। বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে জংশন- ঈশ্বরদী, পাবনা।
৬। বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা- সৈয়দপুরে।
৭। বাংলাদেশে প্রথম মহিলা ট্রেন চালক- সালমা খাতুন।
রেলসেতু:
১। হার্ডিঞ্জ ব্রিজঃ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের বৃহত্তম (একক) রেলসেতু।
২। ভৈরব রেলসেতুঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম (একক) রেলসেতু ভৈরব রেলসেতু।
বিমান যোগাযোগ
১। বাংলাদেশ বিমান সংস্থার নাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড। এটি ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিমানের প্রতীক ‘বলাকা’। এর ডিজাইনার কামরুল হাসান। বাংলাদেশে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মোট ৮টি বিমানবন্দর রয়েছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহ
১। হযরত শাহজালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কুর্মিটোলা, ঢাকা।
২। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- চট্টগ্রাম।
৩। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- সিলেট।
নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা
১। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ৩টি। যথা- চট্টগ্রাম, মংলা (বাগেরহাট) ও পায়রা (পটুয়াখালী) সমুদ্রবন্দর।
২। স্বাধীন বাংলাদেশে নির্মিত দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর পায়রা।
৩। বাংলাদেশের প্রধান নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ জেলার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত।
৪। রাঙামাটি জেলাটি নদীপথে ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত নয়।
বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি
সঙ্গীত
লোকসঙ্গীত- বাংলার বিচিত্র লোকসংগীতের মধ্যে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল গান, চটকা, জারি, সারি, মুর্শিদি গান, মাইজভান্ডারি, কবিগান, পালাগান, পুঁথিগান, গল্পীরা, গাজীর গান, পথকবিতা গান, পালকির গান, ঘেটুগান, পটগান, সুফীগান, কীর্তন, বিয়ের গান, লেটো গান সখের হাঁড়ি (রাজশাহী) ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
নৃত্য
১। মণিপুরী- সিলেট অঞ্চল
২। ঝুমুর- রংপুর, রাজশাহী।
৩। ঘাটু- কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা।
৪। ঢালি- যশোর, খুলনা।
৫। অবতান- ফরিদপুর
৬। ডাক- মানিকগঞ্জ।
নাট্যশিল্প
১। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন- এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নাট্যদলের একটি সংগঠন। ১৯৮০ সালে এটি ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২। মুক্ত মঞ্চ- ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত মুক্ত মঞ্চ-এর অবস্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন জায়গায়। ২০১০ সালে বাংলাদেশের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয় এর প্রবর্তক সেলিম আল দীনের নামে এর নামকরণ করা হয় ‘সেলিম-আল-দীন মুক্তমঞ্চ’।
৩। নাটক সরণি- ২০০৫ সালে ২৬ আগস্ট মহিলা সমিতি নাট্যমঞ্চের জন্য বিখ্যাত বেইলি রোডের নাম পরিবর্তন করে এর নাম রাখা হয় নাটক সরণি।
চিত্রকর্ম
১। বাংলাদেশের ছাপচিত্রের পথিকৃৎ- সফিউদ্দিন আহমেদ।
২। জয়নুল আবেদীন- সংগ্রাম (গরু), ম্যাডোনা-৪৩, মনপুরা-৭০, মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১, নবান্ন, কলশি, বিদ্রোহী, কাঁধে বধূ, সাঁওতাল রমণী, মইটানা, মা ফেরা, রমণী-১৯৫৭।
৩। কামরুল হাসান- তিন কন্যা, নাইওর, দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে, উকি, রায়বেঁশে নৃত্য।
৪। এস এম সুলতান- প্রথম বৃক্ষরোপণ।
৫। মোস্তফা মনোয়ার- জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ ‘মীনা’।
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস
ইতিহাসের উপাদান
১। ইতিহাসের উপাদান হচ্ছে সেসব তথ্য-প্রমাণ যার সাহায্যে কোন ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ইতিহাসের উপাদানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
২। বাংলার প্রাচীন জনপদ ও শাসনামল
৩। সাহিত্য গ্রন্থ ও উৎকর্ণ শিলালিপি হতে প্রায় ষোলটি জনপদের কথা জানা যায় যেসব জনপদের মধ্যে দিয়ে বাংলার জন্ম।
পুণ্ড্র
১। ‘পুণ্ড্র’ জাতি গড়ে তোলে প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও সর্বপ্রাচীন জনপদ।
২। পুণ্ড্রদের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর বা মহাস্থানগড়।
৩। পাথরের চাকতিতে খোদাই করা সম্ভবত বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাচীনতম শিলালিপি এখানে পাওয়া গেছে।
৪। এর বিস্তৃতি ছিল বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলা জুড়ে।
গৌড়
১। পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম গৌড় জনপদের উল্লেখ দেখা যায়। এছাড়াও কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থে ও ব্যাৎসায়নের গ্রন্থে গৌড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়।
২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ অবস্থিত। এছাড়াও বর্তমান ভারতের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ ও নদীয়া জেলা জুড়ে এর বিস্তৃতি ছিল।
৩। সপ্তম শতকে গৌড়রাজ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।
৪। পাল রাজাদের আমলে গৌড়ের নাম-ডাক ছিল সবচেয়ে বেশী।
বঙ্গ
১। গঙ্গা ও ভগীরথীর মাঝখানের অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হতো।
২। বৃহত্তর বগুড়া, পাবনা, ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাঞ্চল, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ নিয়ে বঙ্গ গঠিত হয়েছিল।
৩। বঙ্গ জনপদের উত্তরাঞ্চলের সীমা ছিল পদ্মা নদী।
৪। পাল বংশের শেষ পর্যায়ে বঙ্গ দুভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গ নামে পরিচিত হয়। কেশব সেন ও বিশ্বরূপ সেনের আমলেও ‘বিক্রমপুর’ ও ‘নাব্য’ নামে বঙ্গের দুটি ভাগ ছিল। ফরিদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি এ নাব্য অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৫। বঙ্গ’ থেকে ‘বাঙালি’ জাতির উৎপত্তি ঘটেছিল।
হরিকেল
চীনা ভ্রমণকারী ইৎ সিং এর মতে হরিকেল ছিল পূর্ব ভারতের শেষ সীমানায়। শ্রীহট্ট (সিলেট) থেকে চট্টগ্রামের অংশবিশেষ পর্যন্ত হরিকেল জনপদ বিস্তৃত ছিল (মধ্যখানে সমতট রাজ্যের উপস্থিতি ছিল)। সপ্তম ও অষ্টম শতক থেকে দশ ও এগারো শতক পর্যন্ত হরিকেল একটি স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল।
সমতট
১। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে ছিল সমতটের অবস্থান।
২। মনে করা হয় সমতট বর্তমান কুমিল্লার প্রাচীন নাম। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে সমতট গঠিত হয়েছিল। কুমিল্লা শহরের ১২ মাইল পশ্চিমে বড় কামতা নামক স্থানটি সমতটের রাজধানী ছিল। ‘শালবন বিহার’ নামক প্রাচীন নিদর্শনটি কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
বরেন্দ্র ভূমি
১। এটি উত্তর বঙ্গের একটি জনপদ।
২। গঙ্গা ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে ছিল বরেন্দ্র বা বরেন্দ্র ভূমি জনপদের অবস্থান। বগুড়া, দিনাজপুন, রাজশাহী জেলার অনেকটা অঞ্চল ও পাবনা জেলা জুড়ে বরেন্দ্র অঞ্চল বিস্তৃত ছিল।
তাম্রলিপ্ত
১। হরিকেলের উত্তরে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ।
২। প্রাচীনকালে তাম্রলিপ্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
চন্দ্রদ্বীপ
বর্তমান বরিশাল জেলা ছিল চন্দ্রদ্বীপের প্রাণকেন্দ্র। বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বাগেরহাট এ জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রাঢ় জনপদ
১। ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত অঞ্চলটি হলো রাঢ় জনপদ।
২। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা, বর্ধমান জেলার মধ্যভাগ, বাঁকুড়া জেলার পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব ভাগ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমভাগ রাঢ়ের অন্তর্গত।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন যুগ
মিশরীয় সভ্যতা
১। মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল- নীলনদের তীরে।
২। সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান- পিরামিড, লিখন পদ্ধতি, জ্যোতির্বিদ্যা।
৩। মিশরীয়দের লিখন পদ্ধতির নাম- হায়ারোগ্লিফিক্স।
৪। প্রাচীন মিশরীয় রাজাদেরকে বলা হতো- ফারাও।
৫। মিশরীয়দের সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম- ফারাও খুফুর পিরামিড।
৬। মিশরকে নীল নদের দান’ বলে অভিহিত করেন- ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা
১। মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠে- ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রীস নদীর তীরে।
২। মেসোপটেমীয় সভ্যতার পর্যায়- ৪টি (সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, অ্যাসেরীয় ও ক্যালডীয় সভ্যতা)।
৩। সুমেরীয় সভ্যতা- অবদান: লিখন পদ্ধতি (কিউনিফর্ম)।
৪। ব্যাবিলনীয় সভ্যতা- সর্বপ্রথম পঞ্জিকার প্রচলন হয়।
আরো পড়ুন:
ঔপনিবেশিক শাসন ও বাংলার ইতিহাস
অ্যাসেরীয় সভ্যতা
১। যুদ্ধবিদ্যা, অস্ত্র ও হাতিয়ার তৈরি।
২। সর্বপ্রথম গোলন্দাজ বাহিনী গঠন।
৩। ৩৬০° কোণ আবিষ্কার।
দ্রাবিড় সভ্যতা
১। বৈদিক সাহিত্য অনুযায়ী দ্রাবিড় জাতিকে দস্যু জাতি বলা হয়।
২। দক্ষিণ ভারতে এদের বসতি ছিল।
৩। এদের প্রধান পেশা ছিল কৃষি।
সিন্ধু সভ্যতা
১। ১৯২২ সালে বর্তমান পাকিস্তানের হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে এ সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়।
২। বাঙালি ঐতিহাসিক রাখলদাস বন্দোপাধ্যায়, স্যার জন মার্শাল ও দয়ারাম সাহনী সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার করেন।
ফিনিশীয় সভ্যতা
১। বর্ণমালা উদ্ভাবন বা লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার।
২। ফিনিশীয় সভ্যতার বর্ণমালা মোট ২২ টি। এর সাথে বর্তমানকালের ব্যঞ্জনবর্ণের মিল রয়েছে।
৩। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও নৌকা তৈরি।
আর্য বা বৈদিক সভ্যতা
১। ভারতবর্ষে আর্য জাতির আগমন ইরান থেকে।
২। এদের ধর্মগ্রন্থ ছিল বেদ।
৩। আর্য সমাজ চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। যথা: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।
৪। আর্যদের রাজনৈতিক জীবন ছিল পরিবারকেন্দ্রিক। পরিবারের প্রধানকে ‘কুলপ’ বলা হতো।
৫। আলেকজান্ডারের ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন
৬। আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে আগমন করেন- খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে।
৭। আলেকজান্ডার ছিলেন- গ্রিসের অধিবাসী এবং ম্যাসিডোনিয়ার রাজা।
৮। আলেকজান্ডারের প্রধান সেনাপতির নাম- সেলিওকাস।
৯। আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময়- ‘গঙ্গারিডই’ নামে এক শক্তিশালী রাজ্য ছিল।
১০। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে গঙ্গা নদীর দুটি স্রোত ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ‘গঙ্গারিডই’ জাতির বাসস্থান ছিল। তাদের রাজধানী ছিন পলিবোথরা (পাটালিপুত্র)।
১১। আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক ছিলেন- অ্যারিস্টটল।
১২। অ্যারিস্টটলের গৃহশিক্ষক ছিলেন- প্লেটো।
১৩। প্লেটোর গৃহশিক্ষক ছিলেন- সক্রেটিস।
১৪। আলেকজান্ডার মৃত্যুবরণ করেন- ব্যাবিলনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে।
মৌর্য সাম্রাজ্য
১। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম- মৌর্য সাম্রাজ্য। ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মগধের সিংহাসনে আরোহণের মাধ্যমে এক বিশাল অঞ্চলের উপর এ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
২। মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী- পাটালিপুত্র।
৩। মৌর্যযুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী- পুণ্ড্রনগর।
৪। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের প্রথম সম্রাট।
৫। সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রধানমন্ত্রী- চাণক্য, চাণক্যের ছদ্মনাম- কৌটিল্য, কৌটিল্যের বিখ্যাত গ্রন্থ- অর্থশাস্ত্র’।
৬। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে ভারতবর্ষের প্রদেশ ছিল- ৫টি।
৭। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৮। অমিত্রাঘাত’ বা ‘শত্রুহন্তা’ নামে পরিচিত।
সম্রাট অশোক
১। মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট।
২। পিতা বিন্দুসারের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আরোহণ করেন।
৩। উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের শাসনামলে (২৬৯-২৩২ খ্রিস্টপূর্ব)।
৪। কলিঙ্গ যুদ্ধে সম্রাট অশোক কলিঙ্গ রাজাকে পরাজিত করেন।
৫। অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন- কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে।
৬। তাঁর আমলেই বৌদ্ধধর্ম রাজধর্মের স্বীকৃতি পায় ও বিশ্বধর্মের মর্যাদা পায়। তাঁকে ‘বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন’ বলা হয়।
৭। মৌর্য বংশের সর্বশেষ সম্রাট- বৃহদ্রথ।
কুষাণ সাম্রাজ্য
১। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহৎ সাম্রাজ্য।
২। প্রতিষ্ঠাতা- কুজুল কদফিসেস।
৩। কুষাণ বংশের শেষ রাজা- বাসুদেব।
৪। কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- কনিষ্ক।
৫। কনিষ্কের রাজধানী- পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার) এবং মথুরা (দ্বিতীয় রাজধানী)।
৬। কনিষ্কের চিকিৎসক চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সর্বপ্রথম সংকলন গ্রন্থ ‘চরক সংহিতা’ রচনা করেন।
গুপ্ত সাম্রাজ্য
১। এ সাম্রাজ্যকে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এ যুগ ছিল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প, সাহিত্য, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের উৎকর্ষের যুগ।
২। গুপ্ত যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে- ভারতের মহারাষ্ট্রের অজন্তা ও ইলোরার গুহাচিত্রে।
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
১। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের মাধ্যমে ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২০ খ্রিস্টাব্দে।
২। রাজধানী ছিল পাটালিপুত্র ও গুপ্ত অধিকৃত বাংলার রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর।
সমুদ্রগুপ্ত
১। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত
২। উপাধি- ‘প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন’।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
১। উপাধি ছিল- ‘বিক্রমাদিত্য’, ‘সিংহবীর’।
২। তাঁর শাসনামলেই গুপ্ত সাম্রাজ্য সবচেয়ে বিস্তৃত হয়।
৩। তাঁর দরবারে সমবেত হওয়া প্রতিভাবানদের মাঝে প্রধান নয়জনকে ‘নবরত্ন’ বলা হয়।
৪। তাঁর দরবারে কালিদাস, বিশাখা দত্ত, নাগার্জুন, আর্যদেব, সিদ্ধসেন, দিবাকর প্রমুখ কবি সাহিত্যিকদের সমাবেশ ঘটে।
৫। কালিদাসের মহাকাব্যের নাম- মেঘদূত।
৬। আর্যভট্ট ও বরাহ মিহির ছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত বিজ্ঞানী।
৭। আর্যভট্ট সর্বপ্রথম পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি নির্ণয় করেন। আর্যভট্টের গ্রন্থের নাম ‘আর্য সিদ্ধান্ত’।
৮। বরাহ মিহির ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থের নাম ‘বৃহৎ সংহিতা’
৯। তাঁর শাসনামলে প্রথমচৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ভারতে এসেছিলেন।
১০। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলাদেশে স্বাধীন বঙ্গ ও স্বাধীন গৌড় নামে দুটি স্বাধীন সাম্রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
১১। ষষ্ঠ শতকে মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতি ‘হুন’ দের আক্রমণে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
স্বাধীন বঙ্গ ও গৌড় রাজ্য
১। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলাদেশে স্বাধীন বঙ্গ ও স্বাধীন গৌড় নামে দুটি স্বাধীন সাম্রাজ্যের সৃষ্টি হয় ষষ্ঠ শতকে।
২। অবস্থান- দক্ষিণ পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম-বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে।
৩। স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য আমলের ৭টি তাম্রলিপি পাওয়া গেছে।
৪। তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে, গোপচন্দ্র, ধরমাদিত্য ও সমাচারদেব ‘মহারাজাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করে এ রাজ্য শাসন করতেন।
স্বাধীন গৌড় রাজ্য
১। অবস্থান- বাংলার পশ্চিম ও উত্তর বাংলা নিয়ে।
২। গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা- গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের মহাসামন্ত শশাঙ্ক। শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে গৌড় অঞ্চল দখল করে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন জনপদগুলোকে গৌড়নামে একত্রিত করার ফলে তাঁর উপাধি ছিল রাজাধিরাজ।
৩। বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা- শশাঙ্ক
৪। শশাঙ্কের রাজধানী- মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণে।
৫। শশাঙ্ক ছিলেন- শৈব ধর্মের উপাসক।
৬। বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন- রাজা হর্ষবর্ধন।
৭। হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্ট রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ- ‘হর্ষচরিত’।
৮। হর্ষবর্ধনের সময় আগত চীনা পরিব্রাজক- হিউয়েন সাং।
৯। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা- রাজা হর্ষবর্ধন।
১০। হর্ষবর্ধনের রাজধানী- কনৌজে।
মাৎস্যন্যায়
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশত বছর রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা ছিল, যাকে তাম্রশাসনে ‘মাৎসান্যায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পাল বংশ
১। পাল বংশের প্রথম রাজা গোপালের আগমনে মাৎস্যন্যায়ের ইতি ঘটে। পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী পাল বংশের রাজারা ৪০০ বছর এদেশ শাসন করেন।
২। বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজ বংশ- পাল বংশ।
৩। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল।
৪। পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা-ধর্মপাল।
৫। নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বা সোমপুর বিহার নির্মিত হয়- ধর্মপালের সময়ে।
৬। ধর্মপাল ধর্ম বিস্তারের জন্য স্থাপন করেন- ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র।
৭। রাজা ধর্মপালের উপাধি-বিক্রমশীল।
৮। বাংলার প্রাচীনতম চিত্রকলার নিদর্শন তালপাতায় অঙ্কিত নালন্দা মহাবিহারের ‘বৌদ্ধ-অনুচিত্র’ অঙ্কিত হয়- প্রথম মহীপাল দেব এর সময়ে।
৯। দ্বিতীয় মহীপালের শাসনামলে সামন্ত দিব্যর নেতৃত্বে কৈবর্ত বিদ্রোহ বা সামন্ত বিদ্রোহ ঘটে।
১০। পাল বংশের সর্বশেষ রাজা- রামপাল বা মদনপাল।
১১। রামপালের রাজত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়- সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিতম’ গ্রন্থ।
১২। দিনাজপুরে অবস্থিত রামসাগর দীঘি- রাজা রামপালের কীর্তি।
সেন বংশ
১। পাল বংশের পতনের পর বারো শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মালম্বী সেন রাজবংশের সূচনা করেন সামন্ত সেন।
২। সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা- সামন্ত সেন।
৩। সেন বংশের প্রথম রাজা- সামন্ত সেনের পুত্র হেমন্ত সেন।
৪। সেন বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- বিজয় সেন। তিনি নিজেকে সামন্তরাজা থেকে স্বাধীন রাজা রূপে প্রতিষ্ঠা করেন।
৫। বিজয় সেনের উপাধি- ‘পরমেশ্বর’, ‘পরম ভট্টারক’, ‘মহারাজাধিরাজ’
৬। কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক- বল্লাল সেন।
৭। বল্লাল সেন রচিত গ্রন্থ- ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’। অসমাপ্ত অদ্ভুতসাগর গ্রন্থটি তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন সমাপ্ত করেন।
৮। বাংলার শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন।
৯। সেন বংশের সর্বশেষ রাজা- লক্ষণ সেন।
১০। লক্ষণ সেনের উপাধি- ‘গৌড়েশ্বর’।
১১। লক্ষণ সেনের রাজধানী- গৌড় ও নদীয়াতে।
বাংলা ভূখণ্ডের ইতিহাসের সম্পূর্ণ লেকচার শীটটি পিডিএফ ডাউনলোড কর।