বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম: বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম শুধু একটি ভাষাগত বিধান নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। শুদ্ধ বানান চর্চায় ভাষা পায় সৌন্দর্য, শব্দে আসে প্রাণ। আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে আসলাম ৩৪টি বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম ও উদাহরণ। তাহলে চলো, শুরু করি।
বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম
১। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম সংস্কৃত শব্দের বানান অবিকৃত ও অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন: চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি।
২। যে সব তৎসম শব্দে ‘ই’ বা ‘ঈ’ এবং ‘উ’ বা ‘ঊ’ উভয়ই শুদ্ধ সেইসব শব্দে ‘ই’ এর পর কোথাও ব্যঞ্জন বর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন:- শর্ত, সূর্য, সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য, কর্তা, কার্তিক, কার্য, ধর্ম, ধৈর্য, বার্ধক্য, মূর্ছা, মাধুর্য, মার্জনা, জর্দা, কার্যালয় ইত্যাদি।
৩। দেশ, জাতি ও ভাষার নামের ক্ষেত্রে ‘ই/উ’ লিখতে হবে। যেমন:- ইংরেজি, ফারসি, দেশি, বাঙালি ইত্যাদি। তবে ‘ঈ’ প্রত্যয় যুক্ত থাকলে ঈ-কার হবে। যেমন: এশীয়, অস্ট্রেলীয়, আরবীয়, ভারতীয়, ইউরোপীয় ইত্যাদি। ব্যতিক্রম: চীন, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ।
৪। অন্তে কোনো বিসর্গ থাকবে না। যেমন:- প্রথমত, প্রধানত, প্রায়শ, পুনঃপুন, বস্তুত, মূলত, সাধারণত ইত্যাদি।
৫। তদ্ভব, দেশি, বিদেশি এবং মিশ্র শব্দে কেবল ‘ই’ এবং ‘উ’ এবং এদের কার চিহ্ন ব্যবহৃত হবে।
৬। স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও ‘ই’ এবং ‘উ’ এবং এদের কার চিহ্ন ব্যবহৃত হবে। যেমন: ওকালতি, কেরামতি, খুশি, গোয়ালিনি দারি, চাচি, চুরি, টুপি, তরকারি, দাড়ি, দিঘি, পাগলি, বেআইনি, মাসি।
৭। নিশ্চয় অর্থে ব্যবহৃত ‘ই’ প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে কার না বসে পূর্ণবর্ণ বসে। যেমন: আজই, ফালাই।
৮। তৎসম শব্দের বানানে ‘ণ’ ব্যবহৃত হবে।
৯। তৎসম শব্দের বানানে ‘ষ’ ব্যবহৃত হবে।
১০। সমাসবদ্ধ পদে ই কার বসে। যেমন:- মন্ত্রীর সভা মন্ত্রিসভা, প্রাণীর জগৎ = প্রাণিজগৎ ইত্যাদি।
১১। বাংলায় প্রচলিত জ এবং ‘য’ বর্ণ যুক্ত বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষার ধ্বনি পদ্ধতি অনুযায়ী লিখতে হবে। যেমন: কাগজ, জাহাজ, হাজার বাজার। কিন্তু ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত কয়েকটি বিশেষ শব্দে য ব্যবহৃত হওয়া সঙ্গত। যেমন: আযান, ওযু, কাযা, নামায, ইত্যাদি। =
১২। আলি এবং অঞ্জলি প্রত্যয় যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন:- গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি, অ্যাঞ্জলি, পুষ্পাঞ্জলি, খেয়ালি, বর্ণালি, রূপালি, গীতালি, মিতালি, হেঁয়ালি ইত্যাদি।
১৩। ক্রিয়াপদের বানানের পদান্তে ও-কার উচ্চারিত হলেও লেখা আবশ্যিক নয়। যেমন:-করব, বলব, খাব, পড়ব, যাব, নামব, হল ইত্যাদি।
১৪। আনো’ প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ও-কার যুক্ত করা হবে। যেমন:- করানো, বলানো, পড়ানো, ইত্যাদি।
১৫। নাই, নেই, না, নি এই নঞর্থক অব্যয় পদগুলো শব্দের শেষে যুক্ত না হয়ে পৃথক থাকবে। যেমন:-বসে নাই, যায় নি, পাব না।
১৬। দু / দূ দিয়ে শব্দ গঠিত হলে কেবল দূরত্ব (Distance) বা দূরের কিছু বুঝাতে দু” বসে, অন্য সব জায়গায় দু” বসে। যেমন: দূত দূরদর্শন, দূরদৃষ্টি (দূরের দৃষ্টি), দুরদৃষ্ট (মন্দভাগ্য), দূরদর্শী, দূরীকরণ, দূরীভূত, দূরান্ত (দূরের অন্ত), দুরন্ত (চঞ্চল), দুরবস্থা,
১৭। কয়েকটি স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হবে। যেমন:- গাভী, শ্রীমতী, নারী, বান্ধবী।
১৮। পদাশ্রিত নির্দেশক টি ব্যবহারে ই-কার হবে। যেমন:- লোকটি, কাজটি, ছেলেটি, বইটি ইত্যাদি।
১৯। সমাসবদ্ধ পদ একসঙ্গে লিখতে হবে। যেমন:-অদৃষ্টপূর্ব, পূর্বপরিচিত, জটিলতামূলক, জ্ঞানাসিন্ধু, সংবাদপত্র, সংযতবাক ইত্যাদি।
২০। গুণ, সংখ্যা বা দূরত্ববাচক বিশেষণ পদ সবসময় আলাদা বসবে। যেমন:- এক জন, দুই দিন।
২১। সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে ‘কী’ শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন:- কী করছ? এটা কী বই? কী করে বাংলা কী ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী?
২২। অন্য ক্ষেত্রে অব্যয় পদরূপে ই কার দিয়ে কি শব্দটি লেখা হবে। যেমনঃ রহিম কি এসেছিল?
২৩। যে প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বা না উত্তর দেয়া যায় সেক্ষেত্রে কি হবে। হ্যা বা না উত্তর দেয়া না গেলে কী হবে।
২৪। শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বর (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন:- গাং, ঢং, পালং, রং সং ইত্যাদি।
২৫। লেখক ও কবি নিজেদের নামের বানান যেভাবে লেখেন বা লিখতেন, সেভাবেই লেখা হবে। যেমন:- শামসুর রাহমান, হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, জসীমউদ্দীন, মুনীর চৌধুরী।
২৬। বিদেশি শব্দের বানানে য, ণ, ছ, ড়, ঢ় ব্যবহার করা যাবে না। যেমন: স্টেশন, বামুন, কর্নেল।
২৭। রেফের পর ব্যাঞ্জনবর্ণ দিত্ব হয় না। যেমন: ধৈর্য, নির্দিষ্ট
২৮। ঈয় প্রত্যয়যুক্ত সকল শব্দের ঈ-কার ব্যবহার হয়। যেমন: মঙ্গোলীয়।
২৯। অপ্রাণিবাচক ও ইতরবাচক এর ক্ষেত্রে ‘ই’ কার ব্যবহার হবে। যেমন: বাড়ি গাড়ি।
৩০। তৎসম শব্দের স্ত্রীবাচকে সব সময় ‘ঈ’ কার হবে। যেমন: নারী, জননী।
৩১। কোন বিশেষ্য শব্দের শেষে যদি কী থাকে এবং পরে যতি ত্ব/ তা / সভা /তত্ত্ব/বিদ্যা / জগৎ/নী / পরিষদ / ণী থাকে তাহলে সেই শব্দের শেষের ঈ কার হয়ে যাবে ই কার। যেমন: সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা।
৩২। ঈ, ইনী, ঈয়সী, বতী, মতী, ময়ী প্রত্যয় যুক্ত থাকলে ঈ কার হবে। যেমন: গুণবতী, মানবী
৩৩। অদ্ভুত শব্দে শুধু উ-কার বসবে। অন্য সব ভূত বানান এ ঊ-কার বসবে। যেমন : দ্রবীভূত, উদ্ভূত।
৩৪। অ, আ স্বরধ্বনির সাথে শুধু স বসে। আর বাকি সব স্বরধ্বনির সাথে য বসে । যেমন: পুরস্কার, পরিষ্কার।
বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম (অশুদ্ধ = শুদ্ধ কিছু উদাহরণ)
মরুদ্যান = মরূদ্যান
মনস্তত্ত = মনস্তত্ত্ব
শ্বাশত = শাশ্বত
রামায়ন = রামায়ণ
মনকষ্ট = মনঃকষ্ট
অধ্যায়ন = অধ্যয়ন
খুন্নিবৃত্তি = ক্ষুন্নিবৃত্তি
স্বরস্বতী = সরস্বতী
আকাঙ্খা = আকাক্ষা
বাল্মিকী = বাল্মীকি
নিরিহ = নিরীহ
অতিত = অতীত
বিশ্বস্থ = বিশ্বস্ত
অত্যাধিক = অত্যধিক
সৌহার্দ = সৌহার্দ্য
সামর্থ = সামর্থ্য
শষ্য = শস্য
ভাগিরথি = ভাগীরথী
দৌরাত্ম = দৌরাত্ম্য
জ্বাজ্বল্যমান = জাজ্বল্যমান
আপোষ = আপস
অরন্য = দন্দ
অরণ্য = দ্বন্দ্ব
অন্তরীন = অন্তরীণ
অধ্যাবসায় = অধ্যবসায়
ব্যাতিত = ব্যতীত
নূন্যতম = ন্যূনতম
ভ্রাতাগণ = ভ্রাতৃগণ / ভ্রাতৃবৃন্দ
নিরব = নীরব
ভূবন = ভুবন
সুষ্ঠ = সুষ্ঠু
ইদৃশ = ঈদৃশ
তোরন = তোরণ
দূরাবস্থা = দুরবস্থা
মুখস্ত = মুখস্থ
নিরহংকার = নিরহঙ্কার
প্রজ্জোলন = প্রজ্বলন
মনোপুত = মনঃপূত
সন্ন্যাসি = সন্ন্যাসী
হরিতকি = হরীতকী
অবতরন = অবতরণ
লজ্জাস্কর = লজ্জাকর
গ্রামীন = গ্রামীণ
সম্বর্ধনা = সংবর্ধনা
অদ্যবধি = অদ্যাবধি
মন্ত্রীসভা = মন্ত্রিসভা
প্রাণীবিদ্যা = প্রাণিবিদ্যা
সুপ্তিক = সৌপ্তিক
পুন্যাহ = পুণ্যাহ
সহযোগীতা = সহযোগিতা
মূহুর্মুহু = মুহুর্মুহু
কলংকিত = কলঙ্কিত
খ্রিষ্টান = খ্রিস্টান
খ্রিষ্টাব্দ = খ্রিস্টাব্দ
ততক্ষণাৎ = তৎক্ষণাৎ
তফাৎ = তফাত
নগন্য = নগণ্য
জ্বরাজীর্ণ = জরাজীর্ণ
পিচাশ = পিশাচ
উজ্জল = উজ্জ্বল
প্রজ্জলিত = প্রজ্বলিত
যোদ্ধাগন = যোদ্ধাগণ
ধুলিস্যাৎ = ধূলিসাৎ
উচিৎ = উচিত
উপরোক্ত = উপর্যুক্ত
উচ্ছাস = উচ্ছ্বাস
উপনিবেশিক = ঔপনিবেশিক
উশৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল
উল্লেখিত = উল্লিখিত
একাকি = একাকী
কণক = কনক
কনিকা = কণিকা
আম্পদ = আস্পদ
গোস্পদ = গোষ্পদ
জাত্যাভিমান = জাত্যভিমান
নির্ণিমেষ = নির্নিমেষ
বিদ্রূপ = বুভুক্ষু
বিদ্রূপ = বুভুক্ষু
বুৎপত্তি = ব্যুৎপত্তি
ডাস্টবিন = ডাস্টবিন
প্রতিদ্বন্দ্বীতা = প্রতিদ্বন্দ্বিতা
রুপায়ন = রূপায়ণ
সুস্থ্য = সুস্থ
স্বাস্থ্য = স্বাস্থ্য
সত্ব = স্বত্ব (মালিকানা)
প্রাসঙ্গিক = প্রাসঙ্গিক
সত্ত / স্বত্ত্ব = সত্ত্ব (বিদ্যমান)
ভৌগলিক = ভৌগোলিক
প্রত্যুষ = প্রত্যুষ
ঘুর্নি = ঘূর্ণি
ঘূর্ণিয়মান = ঘূর্ণায়মান
গার্হস্থ = গার্হস্থ্য
খেলোয়ার = খেলোয়াড়
গড্ডালিকা = গড্ডলিকা
কাঁচ = কাচ
আরো পড়ুন:
সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
বাংলা ব্যাকরণ পদ প্রকরণ, পদ কত প্রকার কি কি
বাংলা শব্দ ভান্ডার (সমার্থক শব্দ)
বাংলা ভাষার ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ
কিংবদন্তি = কিংবদন্তী
কেরাণী = কেরানি
কোনক্রমে = কোনোক্রমে
কল্যান = কল্যাণ
গোষ্ঠি = গোষ্ঠী
অসুয়া = অসূয়া
অন্তেষ্টিক্রিয়া = অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
ডাইনী = ডাইনি
দুষ্কৃতিকারী = দুষ্কৃতকারী
ঠাকুরন = ঠাকরুন
ঝাড়া পাতা = ঝরা পাতা
তোড়ন = তোরণ
ত্যাক্ত = ত্যক্ত
তিরষ্কার = তিরস্কার
ঢেরস = ঢেঁড়স
দুরুহ = দূরুহ
দুষণীয় = দূষণীয়
ধুর্ত = ধূর্ত
কেবলমাত্র = কেবল
কৌতুক = কৌতুক
কর্মসূচী = কর্মসূচি
গ্রহস্থ = গৃহস্থ
গ্রামীন = গ্রামীণ
কাচা = কাঁচা
ঘ্রান = ঘ্রাণ
জিবীকা = জীবিকা
ছত্রছায়া = ছত্রচ্ছায়া
চীকিরষা = চিকীর্ষা
টানাপোরেন টানাপোড়েন
ডাষ্টার = ডাস্টার
দূস্পাপ্য = দুষ্পাপ্য
দুরাবস্থা = দূরবস্থা
পৌনপৌনিক = পৌনঃপৌনিক
পোষাক = পোশাক
প্রনয় = প্রণয়
ব্যাভিচার = ব্যভিচার
মাতাজাতি = মাতৃজাতি
মনযোগ = মনোযোগ
মিতালী = মিতালি
বিলাসীতা = বিলাসিতা
ভ্রাম্যমান = ভ্রাম্যমাণ
ভনিতা = ভণিতা
বাশী = বাঁশি
বন্টন = বণ্টন
হিনমন্যতা = হীনমন্যতা
শ্রাবন = শ্রাবণ
শষা = শসা
রেঁনেসা = রেনেসাঁ
সন্ধা = সন্ধ্যা
স্বাক্ষরতা = সাক্ষরতা
সামীসেবা = স্বামীসেবা
সরকারী = সরকারি
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম (নিজে কর)
১) নিচের কোন বানানটি সঠিক?
ক) সভাব
খ) গ্রীণ
গ) লণ্ঠন
ঘ) লণ্ঠন
২). বিশেষবাচক ‘আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে হবে –
ক) ই-কার
খ) ঈ-কার
গ) ও-কার
৩) কোন বানানটি সঠিক?
ক) যুবতী
খ) মেয়েলী
গ) বিদুষি
ঘ) চাকুরী
৪. ভাষা ও জাতির নামের শেষে-
ক) ই-কার হবে
খ) ঈ-কার হবে
গ) ও-কার হবে
ঘ) এ-কার হবে
৫) কোন বানানটি ভুল?
ক) কৃপণ
খ) দুর্ণাম
গ) অগ্রহায়ণ
ঘ) নির্বাণ
৭) নিচের কোন শব্দটি ভুল?
ক) করণেল
খ) প্রতিযোগিতা
গ) স্টেশন
ঘ) প্রতিজগত
৮) কোন শব্দটি শুদ্ধ নয়?
ক) ভূত
খ) অদ্ভূত
গ) উদ্ভূত
ঘ) প্রভূত
৯) সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণত্ব বিধান খাটে না, এরূপ উদাহরণ কোনটি?
ক) গ্রন্থ
খ) ক্রন্দন
গ) দুর্নিবার
ঘ) ধরন
১০) নিচের কোন বানানটি সঠিক নয়?
ক)কল্যাণ
খ) ঋণ
গ) বর্ষা
ঘ) ঘণ্টা
প্রমিত বাংলা বানান শুদ্ধিকরণ নিয়ম (Update) লেকচার শীট ডাউনলোড কর।