এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৮ম অধ্যায় পর্যাবৃত্ত গতির নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে । পর্যাবৃত্ত গতি পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা দোলক এবং তরঙ্গগতির ধারণা বোঝাতে সহায়ক। সরল হারমোনিক গতি, বাধ্যতামূলক দোলন, এবং অনুনাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান এ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়, যা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে আমাদের লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
পর্যাবৃত্ত গতি (Periodic Motion) – HSC Physics 1st Paper
১. পর্যাবৃত্ত গতি কী?
পর্যাবৃত্ত গতি হলো এমন গতি যেখানে কোনো বস্তু নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনরায় একই অবস্থানে ফিরে আসে। এই ধরনের গতি প্রকৃতিতে খুব সাধারণ, যেমন দোলনা বা দোলকের দোলন, ঝর্ণার গতি, এবং সরল হার্মোনিক গতি।
২. সরল হারমোনিক গতি (Simple Harmonic Motion – SHM)
সরল হারমোনিক গতি (SHM) হলো এক ধরনের পর্যাবৃত্ত গতি, যেখানে বস্তুটি তার সমতল অবস্থানের চারপাশে দুলতে থাকে। এর মধ্যে বল বা ত্বরণ সবসময় সমতল অবস্থানের দিকে এবং বস্তুর অবস্থানের সমানুপাতিক হয়।
সরল হারমোনিক গতির সমীকরণ
সরল হারমোনিক গতির সমীকরণ:

সরল হারমোনিক গতির ত্বরণ (Acceleration):

এই সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে ত্বরণ সর্বদা সমতল অবস্থানের দিকে নির্দেশ করে এবং স্থানচ্যুতির সাথে সমানুপাতিক।
পর্যাবৃত্ত গতির বৈশিষ্ট্য
কাল (Time Period – T): এটি হলো একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করতে লাগা সময়।

আবর্তন সংখ্যা (Frequency – f): এটি হলো প্রতি সেকেন্ডে সম্পন্ন হওয়া পূর্ণ দোলনের সংখ্যা।

কৌণিক বেগ (Angular Frequency – ω): এটি হলো প্রতি সেকেন্ডে বস্তুর কৌণিক স্থানান্তরের হার।

দোলক (Oscillator)
দোলক হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যা সরল হারমোনিক গতি সম্পন্ন করে। এর উদাহরণ হলো সরল দোলক এবং স্প্রিং-মাস সিস্টেম।
সরল দোলকের সমীকরণ:
সরল দোলকের গতির সময়কাল নির্ণয়ের সূত্র হলো:

এখানে,
T = সময়কাল,
L = দোলকের দৈর্ঘ্য,
g = মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ।
স্প্রিং-মাস সিস্টেমের সমীকরণ
স্প্রিং-মাস সিস্টেমের জন্য সময়কাল নির্ণয়ের সূত্র হলো:

এখানে,
T = সময়কাল,
m = বস্তুটির ভর,
k = স্প্রিং ধ্রুবক (Spring constant)।
আরো পড়ুন :
প্রাথমিক ও শুষ্ক ঘর্ষণযুক্ত দোলক (Damped and Undamped Oscillations)
শুষ্ক (Undamped) দোলক
যদি কোনো বাহ্যিক ঘর্ষণ বা শক্তি ক্ষয় না ঘটে, তবে দোলন চলতে থাকে একই অম্প্লিটিউডে। এ ধরনের দোলনকে শুষ্ক দোলন বলা হয়।
প্রাথমিক (Damped) দোলক:
যখন ঘর্ষণ বা কোনো প্রতিরোধ বলের কারণে দোলকের শক্তি ক্রমাগত হ্রাস পায়, তখন অম্প্লিটিউড ধীরে ধীরে কমে যায়। এটি প্রাথমিক দোলন নামে পরিচিত।
বাধ্যতামূলক দোলন (Forced Oscillation) এবং অনুনাদ (Resonance)
বাধ্যতামূলক দোলন:
যখন কোনো বাহ্যিক বল একটি সিস্টেমে ক্রমাগত প্রয়োগ করা হয় এবং সিস্টেমকে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে দোলাতে বাধ্য করে, তখন তাকে বাধ্যতামূলক দোলন বলে।
অনুনাদ (Resonance):
যদি বাহ্যিক বলের ফ্রিকোয়েন্সি সিস্টেমের প্রাকৃতিক ফ্রিকোয়েন্সির সমান হয়, তখন অনুনাদ ঘটে। এতে অম্প্লিটিউড খুব বেশি বৃদ্ধি পায়।
তরঙ্গ এবং পর্যাবৃত্ত গতি
পর্যাবৃত্ত গতি তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরঙ্গ হলো শক্তির স্থানান্তরের মাধ্যম, এবং এটি সরল হারমোনিক গতির একটি উদাহরণ হতে পারে।
পর্যাবৃত্ত গতি পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা দোলক এবং তরঙ্গগতির ধারণা বোঝাতে সহায়ক। সরল হারমোনিক গতি, বাধ্যতামূলক দোলন, এবং অনুনাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান এ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়, যা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
আমাদের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :