এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৭ম অধ্যায় পদার্থের গাঠনিক ধর্মের নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে । পদার্থের গাঠনিক ধর্ম অধ্যায় পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা পদার্থের অবস্থা, স্থিতিস্থাপকতা, তরল এবং কঠিন পদার্থের ধর্ম, চাপ, এবং বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পদার্থের গতিবিদ্যা বিশ্লেষণ করে। তাই আর দেরি না করে আমাদের পদার্থের গাঠনিক ধর্মের লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।
পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (Properties of Matter) – HSC Physics 1st Paper
পদার্থের অবস্থা (States of Matter)
পদার্থ প্রধানত তিনটি অবস্থায় পাওয়া যায়
- ঠোসা (Solid): এতে অণুগুলি সুনির্দিষ্ট বিন্যাসে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে।
- তরল (Liquid): এতে অণুগুলি আংশিকভাবে মুক্ত থাকে, যার ফলে তরল কোনো নির্দিষ্ট আকার ধারণ করে না তবে নির্দিষ্ট আয়তন থাকে।
- গ্যাস (Gas): গ্যাসের অণুগুলি পুরোপুরি মুক্ত থাকে এবং এর আকার ও আয়তন নির্দিষ্ট থাকে না।
স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity)
স্থিতিস্থাপকতা হলো পদার্থের সেই ধর্ম, যার মাধ্যমে এটি বাহ্যিক বল প্রয়োগ করার পর আবার তার মূল আকার ও আকৃতি ফিরে পায়।
হুকের সূত্র (Hooke’s Law):
হুকের সূত্র অনুসারে, কোনও পদার্থের বিকৃতি তার উপর প্রয়োগিত বলের সাথে সমানুপাতিক।
F = -kx
এখানে,
F = প্রয়োগিত বল,
k = স্থিতিস্থাপক ধ্রুবক,
x = বিকৃতি।
তরল পদার্থের ধর্ম (Properties of Liquids)
তরল পদার্থের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম রয়েছে:
পৃষ্ঠটান (Surface Tension): তরলের উপরিভাগে অণুগুলির মধ্যে আন্তঃআকর্ষণ শক্তির কারণে সৃষ্ট টানকে পৃষ্ঠটান বলে।
T = F/L
এখানে,
T = পৃষ্ঠটান,
F = বল, এবং
L = দৈর্ঘ্য।
সান্দ্রতা (Viscosity): তরলের সান্দ্রতা হলো তরলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কোনো বস্তুর গতি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।
নিউটনের সান্দ্রতার সূত্র:

এখানে,
F = বল,
n = সান্দ্রতার সহগ,
A = পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল,
dv/dx = বেগের পরিবর্তন হারের সাথে দূরত্ব।
আরো পড়ুন :
কঠিন পদার্থের ধর্ম (Properties of Solids)
কঠিন পদার্থের অণু গুলো সুনির্দিষ্ট বিন্যাসে থাকে এবং তাদের আকার পরিবর্তনের ক্ষমতা সীমিত থাকে। কঠিন পদার্থের দুটি মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
- স্থিতিস্থাপকতা: কঠিন পদার্থের স্থিতিস্থাপক ধর্ম বল প্রয়োগের পর বিকৃতি থেকে তার মূল আকারে ফিরে আসার ক্ষমতা।
- শক্তি শোষণ ক্ষমতা: কঠিন পদার্থ বাহ্যিক বল প্রয়োগের পর কতটা শক্তি শোষণ করে তা এই ধর্মের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
তরলের চাপ (Pressure in Fluids)
তরল পদার্থের প্রতিটি বিন্দুতে চাপ থাকে, যা তরলের গভীরতা ও ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে। তরলের চাপ নির্ণয়ের সূত্র হলো:
P = hpg
এখানে,
P = চাপ (Pressure),
h = তরলের উচ্চতা (Height),
p = তরলের ঘনত্ব (Density),
g = মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (Acceleration due to gravity)।
আর্কিমিডিসের সূত্র (Archimedes’ Principle)
আর্কিমিডিসের সূত্র অনুসারে, কোনো বস্তুকে তরলে নিমজ্জিত করলে, বস্তুটি তার স্থানচ্যুত তরলের ওজনের সমান উত্থান বল অনুভব করে।
F_b = pgV
এখানে,
F_b = উত্থান বল,
P = তরলের ঘনত্ব,
g = মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ,
V = বস্তু দ্বারা স্থানচ্যুত তরলের আয়তন।
বার্নুলির সূত্র (Bernoulli’s Principle)
বার্নুলির সূত্র তরল গতি সম্পর্কিত একটি মূল সূত্র, যা বলে যে কোনও বিন্দুতে তরলের গতিশক্তি, চাপ শক্তি, এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির যোগফল একটি ধ্রুবক থাকে।

এখানে,
P = চাপ (Pressure),
p= ঘনত্ব (Density),
v = বেগ (Velocity),
g = মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (Acceleration due to gravity),
h = উচ্চতা (Height)।
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের ৭ম অধ্যায় পদার্থের গাঠনিক ধর্মের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :