এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে ।পদার্থবিজ্ঞানের ভেক্টর একটি মৌলিক অংশ যা দিক এবং পরিমাণ সহ গাণিতিক মানের ধারণা প্রদান করে। ভেক্টরের যোগফল, বিয়োগফল, গুণফল, মডুলাস, এবং দিকনির্দেশের সাথে সম্পর্কিত গাণিতিক অপারেশনগুলি ভেক্টরের আচরণ এবং প্রভাব বিশ্লেষণে সহায়ক। পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের সঠিক ধরণার জন্য এর সমস্যাগুলির সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আর দেরি না করে আমাদের পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টর (Vectors) – HSC Physics 1st Paper
১. ভেক্টরের ধারণা
ভেক্টর হলো একটি গাণিতিক অদ্বিতীয় যা দিক এবং পরিমাণ উভয়ই নির্দেশ করে। ভেক্টরের একটি নির্দিষ্ট দিক এবং পরিমাণ থাকে, যেমন গতি, বল, এবং ত্বরণ।
উদাহরণ:
- বেগ (Velocity): বেগ একটি ভেক্টর কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট দিক এবং পরিমাণ (মাপ) থাকে।
- বল (Force): বল একটি ভেক্টর কারণ এটি একদিকে কাজ করে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে।
২. ভেক্টরের প্রকারভেদ
ভেক্টরকে প্রধানত দুই ধরনের ভাগে ভাগ করা হয়:
ক. দিকনির্দেশ ভেক্টর (Directional Vector): ভেক্টরের মধ্যে দিক এবং পরিমাণ বোঝানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি গাড়ি উত্তর দিকে ৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে।
খ. ধ্রুবক ভেক্টর (Constant Vector): যদি একটি ভেক্টরের পরিমাণ ও দিক স্থির থাকে, তাকে ধ্রুবক ভেক্টর বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর আকর্ষণ বল যা স্থানিকভাবে নির্দিষ্ট।
৩. ভেক্টরের গাণিতিক অপারেশন
পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের গাণিতিক অপারেশনগুলো ভেক্টরের পরিমাণ এবং দিকের সাথে সম্পর্কিত।
ক. যোগফল (Addition)
পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের যোগফল ভেক্টরের উপর যোগ করা হয় এবং এটি একটি নতুন ভেক্টর তৈরি করে। দুইটি ভেক্টর যোগ করার প্রক্রিয়া:
- গ্রাফিক্যাল পদ্ধতি: দুইটি ভেক্টরের শেষ থেকে শুরু করে একটি নতুন ভেক্টর আঁকা হয়।
- আলজেব্রিক পদ্ধতি: ভেক্টরের উপাদানগুলি যোগ করে নতুন ভেক্টর নির্ণয় করা হয়।
খ. বিয়োগফল (Subtraction)
ভেক্টরের বিয়োগফল দুইটি ভেক্টরের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে। এটি প্রথম ভেক্টরের বিপরীত এবং দ্বিতীয় ভেক্টরের যোগফল হিসেবে গণ্য করা হয়।
গ. বহুগুণ (Multiplication)
স্কেলার গুণফল (Scalar Multiplication): একটি ভেক্টরকে একটি স্কেলার গুণফলে গুন করলে তার পরিমাণ পরিবর্তিত হয় কিন্তু দিক অপরিবর্তিত থাকে।
- ভেক্টর গুণফল (Vector Multiplication): দুইটি ভেক্টরের মধ্যে গুণফলের দুটি প্রকার থাকে:
- ডট প্রোডাক্ট (Dot Product): দুইটি ভেক্টরের মধ্যে স্কেলার ফলাফল উৎপন্ন হয়।
- ক্রস প্রোডাক্ট (Cross Product): দুইটি ভেক্টরের মধ্যে একটি নতুন ভেক্টর উৎপন্ন হয়, যার দিক দুইটি ভেক্টরের প্রতি লম্বা এবং পরিমাণ দুইটি ভেক্টরের প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কিত।
ঘ. ভেক্টরের উপাদান (Components)
একটি ভেক্টরকে দুটি উপাদানে বিভক্ত করা যায়:
- অনুভূমিক উপাদান (Horizontal Component)
- অমুভূমিক উপাদান (Vertical Component)
আরো পড়ুন :
৪. ভেক্টরের ডট প্রোডাক্ট (Dot Product)
ডট প্রোডাক্ট বা স্কেলার প্রোডাক্ট দুইটি ভেক্টরের মধ্যে একটি স্কেলার মান উৎপন্ন করে।

এখানে,
A এবং B = ভেক্টর
|A| এবং |B| = ভেক্টরের দৈর্ঘ্য
θ= দুই ভেক্টরের মধ্যে কোণ
ডট প্রোডাক্ট এর ফলাফল একটি স্কেলার মান হিসেবে গণ্য হয় এবং এটি পরিমাপের মধ্যে কোণের তথ্য প্রদান করে।
৫. ভেক্টরের ক্রস প্রোডাক্ট (Cross Product)
ক্রস প্রোডাক্ট দুইটি ভেক্টরের মধ্যে একটি নতুন ভেক্টর উৎপন্ন করে, যা দুইটি ভেক্টরের প্রতি লম্বা এবং তার দৈর্ঘ্য ভেক্টরের প্রোডাক্ট এবং তাদের মধ্যে কোণের সাইন দ্বারা নির্ধারিত।

এখানে,
A×B = ক্রস প্রোডাক্ট
n = ইউনিট ভেক্টর যা A এবং B এর প্রতি লম্বা
ক্রস প্রোডাক্ট একটি ভেক্টর আউটপুট হিসেবে দেয়, যা দুইটি ভেক্টরের সাথে পরিমাপিত কোণ ও তাদের প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কিত।
৬. ভেক্টরের মডুলাস (Magnitude)
ভেক্টরের মডুলাস তার দৈর্ঘ্য বা পরিমাণ নির্দেশ করে।

এখানে,
Ax,Ay,Az = ভেক্টরের উপাদান
৭. ভেক্টরের দিকনির্দেশ (Direction)
ভেক্টরের দিকনির্দেশ তার গতি বা প্রভাবের দিক নির্ধারণ করে। এটি সাধারণত কোণ দিয়ে নির্ধারণ করা হয়।
৮. ভেক্টরের সমাহার (Resolution of Vectors)
একটি ভেক্টরকে দুটি বা ততোধিক উপাদানে বিভক্ত করার প্রক্রিয়া হল ভেক্টরের সমাহার। এই পদ্ধতি ভেক্টরের বিশ্লেষণ সহজ করে এবং ভেক্টরের গাণিতিক সমস্যা সমাধানে সহায়ক।
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ভেক্টরের লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :