আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান সেই তত্ত্ব এবং ধারণাসমূহ নিয়ে আলোচনা করে যা ১৯শ শতকের শেষদিকে এবং ২০শ শতকের প্রথমার্ধে বিকশিত হয়েছে। এটি কুইন্টাম মেকানিক্স, আপেক্ষিকতা, এবং মৌলিক কণা পদার্থবিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত।
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের ৮ম অধ্যায় আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা নোটটি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় , মেডিকেল কলেজ পরিক্ষা ও ইন্জিনিয়ারিং পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে । এই লেকচার শীটে অন্তর্ভুক্ত আছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, গ্যালিলিওর রূপান্তর, কুইন্টাম মেকানিক্স, কোয়ান্টাম কণা এবং তাত্ত্বিক শক্তি। তাই আর দেরি না করে আমাদের আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা লেকচার শীটটি পড়ে ফেলুন ।।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা – HSC Physics 2nd Paper
১. আপেক্ষিকতা (Relativity)
ক. বিশেষ আপেক্ষিকতা (Special Relativity)
বিশেষ আপেক্ষিকতা ১৯০৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি মূলত দুটি মৌলিক ধারণার উপর ভিত্তি করে:
- সর্বজনীন গতি (Constancy of the Speed of Light): আলোর গতি c শূন্যস্থানে সমস্ত পর্যবেক্ষকের জন্য সমান এবং 3 *10^8 m/s
- আপেক্ষিকতার নীতিমালা (Principle of Relativity): সমস্ত পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র গতি সম্পর্কিত অবস্থার উপর নির্ভরশীল নয়।
বিশেষ আপেক্ষিকতার মূল সূত্রগুলি অন্তর্ভুক্ত করে:
লোরেন্টজ ট্রান্সফরমেশন (Lorentz Transformation): স্থান ও সময়ের আপেক্ষিকতা সম্পর্কিত সূত্র।
মাস-শক্তি সমীকরণ (Mass-Energy Equivalence): E = mc^2, যেখানে E শক্তি, m ভর, এবং c আলোর গতি।
খ. সাধারণ আপেক্ষিকতা (General Relativity)
সাধারণ আপেক্ষিকতা আইনস্টাইন দ্বারা ১৯১৫ সালে প্রস্তাবিত। এটি মহাকর্ষের তত্ত্ব যা স্থান এবং সময়ের পরিভাষা সম্প্রসারিত করে:
- স্থান-কাল বক্রতা (Curvature of Spacetime): মহাকর্ষকে স্থান-কাল বক্রতার ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
- গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং (Gravitational Lensing): মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র দ্বারা আলোর পথ পরিবর্তন।
২. কুইন্টাম মেকানিক্স (Quantum Mechanics)
ক. কুইন্টাম তত্ত্বের মৌলিক ধারণা (Fundamental Concepts of Quantum Theory)
- কুইন্টাম (Quantum): শক্তির মৌলিক একক, যা ধরণের ক্ষুদ্রতম পরিমাণ।
- ওয়েভ-পার্টিকল দ্বৈততা (Wave-Particle Duality): কণা এবং তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য কিছু পরিস্থিতিতে মুছে যায়।
খ. শ্ৰোডিঙ্গার সমীকরণ (Schrödinger Equation)
শ্ৰোডিঙ্গার সমীকরণ কুইন্টাম সিস্টেমের অবস্থার বিশ্লেষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি মৌলিক সমীকরণ যা কুইন্টাম স্তরের কণার আচরণ বর্ণনা করে।
গ. হাইজেনবার্গের অস্থিতিশীলতা নীতি (Heisenberg Uncertainty Principle)
হাইজেনবার্গের অস্থিতিশীলতা নীতি বলে যে একযোগে একটি কণার অবস্থান এবং গতি (মোমেন্টাম) সম্পূর্ণরূপে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন :
৩. মৌলিক কণা পদার্থবিজ্ঞান (Particle Physics)
ক. মৌলিক কণার প্রকারভেদ (Types of Fundamental Particles)
- ফার্মিওন (Fermions): মৌলিক কণার দল, যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।
- বোসন (Bosons): শক্তির মধ্যস্থতাকারী কণা, যেমন ফোটন, গ্লুয়ন, W/Z বোজন।
খ. স্ট্যান্ডার্ড মডেল (Standard Model)
স্ট্যান্ডার্ড মডেল মৌলিক কণার এবং তাদের মধ্যে শক্তি ও কণার পারস্পরিক সম্পর্ক বর্ণনা করে। এটি চারটি মৌলিক শক্তির মধ্যে বৈদ্যুতিক, মৌলিক, ওয়েক এবং গ্লুয়ন শক্তির অন্তর্ভুক্ত।
৪. কোয়ান্টাম কণা এবং তাত্ত্বিক শক্তি (Quantum Particles and Theoretical Forces)
ক. কোয়ান্টাম তত্ত্বের কণা (Quantum Particles)
কিছু কণার চরিত্রবাদী বৈশিষ্ট্য যেমন:
- বসন (Bosons): পারমাণবিক শক্তি স্থানান্তরকারী কণা, উদাহরণস্বরূপ, গ্লুয়ন, ফোটন।
- ফার্মিওন (Fermions): পদার্থের মৌলিক কণা, যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।
খ. তাত্ত্বিক শক্তির ধারণা (Theoretical Forces)
মৌলিক শক্তির মডেল এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে:
- গুরুত্বপূর্ণ শক্তি (Gravitational Force)
- ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি (Electromagnetic Force)
- ওয়েক শক্তি (Weak Force)
- গ্লুয়ন শক্তি (Strong Force)
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান আমাদের মহাকাশ, কণা এবং শক্তির মৌলিক প্রকৃতি বুঝতে সহায়ক। আপেক্ষিকতা এবং কুইন্টাম মেকানিক্সের মত নতুন তত্ত্বগুলি পদার্থবিজ্ঞানের বিশাল পরিসরকে বুঝতে সাহায্য করে এবং মৌলিক কণার গবেষণায় একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু এবং এর ধারণাগুলি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের ৮ম অধ্যায় আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা লেকচার শীটটি ডাউনলোড করুন :